মাথার উপরে সারা বছর বনবন করে ঘুরেই চলেছে সিলিং ফ্যান । ক্লান্তি শব্দটিই নেই তার অভিধানে। বর্তমানে প্রায় সকলের ঘরেই থাকে সিলিং ফ্যান। গরীব-বড়লোক এমন কোনো ব্যাপার নেই। আর তাছাড়া সিলিং ফ্যানের যা দাম, তা অনায়াসেই যেকোনো লোক ব্যায় করতে পারে। বিশেষ করে যেখানে দুদণ্ড স্বস্তি নিয়ে কথা হচ্ছে সেখানে তো অবশ্যই।
হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন। সিলিং ফ্যানের কথাই থাকছে আজ আমদের আলোচনাতে। ভারতের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে যা প্রতিটি ঘরেই আবশ্যিক।
কিন্তু অতি পরিচিত ও প্রয়োজনীয় সিলিং ফ্যান সম্পর্কেই অনেক তথ্য আমাদের অজানা। অথবা, আমরা জানলেও বিষয়গুলি সুস্পষ্ট হয়তো জানি না।
তাই আজ গরমের একমাত্র স্বস্তিদাতা সিলিং ফ্যান সম্পর্কেই এমনই সাতটি অজানা মজাদার তথ্য জেনে নেবো, যা আপনাকে অবাক করবে সঙ্গে চনমনে আমেজ এনে দেবে। অনেক কিছুই আছে জানানোর তাই আজকের প্রতিবেদনটি শেষ অবধি পরার অনুরোধ রইল।
তবে শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার সিলিং ফ্যান চালু করে নেবেন ও সঙ্গে নতুন পোস্ট বা আর্টিকেল এর ইমেইল নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য আপনি এখানে ক্লিক করতে পারেন। ক্লিক করার পর আপনার নাম ও ইমেইল দিয়ে সাবমিট করে দেবেন।আর বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
1. সিলিং ফ্যানের ভয় !
অনেকেই আছেন মাথার উপর সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ার ভয় পান। যদিও, নিয়মিত সিলিং ফ্যানের যদি আপনি সার্ভিসিং করান তবে এই সম্ভাবনা খুবই কমে যায়। সিলিং ফ্যান ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা অস্বাভাবিক না হলেও, সাধারণত এমন হয় না। মানে সিলিং ফ্যান ভেঙে পরা এতটাই নগণ্য কারন যে আপনার ভয় না পেলেও চলবে।
2. এসির সঙ্গে সিলিং ফ্যান
আপনার বাড়িতে এয়ার কন্ডিশনার না থাকলে সিলিং ফ্যান আপনাকে স্বস্তি দেবে ঠিকই । কিন্তু, বাড়িতে যদি এসি থাকে এবং তার সঙ্গেই যদি আপনি ফ্যান চালান তখন কিন্তু বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় না।
অন্তত সমীক্ষায় এমন তথ্যই জানা গিয়েছে। 1996 সালে ফ্লোরিডা সোলার এনার্জি সেন্টারের এক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছিল যে , যাঁরা তাপমাত্রা বাড়িয়ে ঘরে এসি চালান, তাঁদের সঙ্গে যাঁরা ফ্যান ছাড়া এসি ব্যবহার করেন তাঁদের বিদ্যুৎ বিল সমান। যদিও, সকলে হয়তো এই সমীক্ষার তথ্য বিশ্বাস করবে না। অনেকের দাবি, বেশি তাপমাত্রায় এসির সঙ্গে ঘরে সিলিং ফ্যান চালিয়ে রাখলে অনেকটা বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। যদিও বিদ্যুতের সাশ্রয় না হলেও সিলিং ফ্যানের সাহায্যের এসির শীতল হাওয়া ঘরের প্রতিটি কোণে পৌচ্ছোয়। তাও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক তারাতারি।
আপনি আরও পড়তে পারেন ঃ প্যারিসের দশটি মজাদার, আকর্ষণীয়, এবং অজানা দুর্দান্ত ফ্যাক্ট।
3. ফ্যানের কার্যকারিতা জানার উপায়?
কত বিদ্যুৎ খরচ করে আপনার সিলিং ফ্যান কতটা হাওয়া দিতে পারবে ? তার উপরে ভিত্তি করেই আসলে ফ্যানের কার্যকারিতা মাপা হয়।
মোটামুটি একটি ভালো ফ্যানে 100 cfm/watt কার্যকারিতা পাবেন। আর খারাপ ফ্যানে এই সংখ্যা কমে গিয়ে হবে হয়তো 30 cfm/watt। আপনি সংখ্যা দেখেই বুঝতে পারবেন, কোন সিলিং ফ্যান আপনার জন্য ভালো আর কোনটা খারাপ।
4. কম স্পিডে বেশি কার্যকর ?
ফ্যানের গতি কম থাকলে, তা বেশি কার্যকর হবে। এটাই নিয়ম। তাই সব সময় মাঝামাঝি অথবা লো স্পিডে সিলিং ফ্যান চালানো ভালো। ফ্যানের গতির থেকে ব্লেড বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বড় ব্লেডের ফ্যান আস্তে চললেও ছোট ব্লেডের ফ্যানের থেকে বেশি কার্যকর হবে।
আপনি আরও পড়তে পারেন ঃ কলকাতার মজাদার ও আকর্ষণীয় ফ্যাক্ট।
5. সিলিং ফ্যান আসলে ঘর গরম করে!
গরমের থেকে সাময়িক স্বস্তি দিলেও, সিলিং ফ্যান আসলে কিন্তু ঘর গরম করে! সিলিং ফ্যানের মধ্যে থাকা মোটর বা কয়েলের মাধ্যমে বিদ্যুতিক শক্তিকে মেকানিক্যাল শক্তিতে পরিবর্তন করা হয়। সঙ্গে সামান্য ঘর্ষণ আর সেই কারণেই ফ্যান থেকে উৎপন্ন হয় তাপ। ইনফ্রারেড ক্যামেরা যদি আপনি সিলিং ফ্যানের কয়েলের সামনে রাখেন, দেখবেন সেখান থেকে তাপ বের হচ্ছে। যা ঘরের তাপমাত্রার থেকে বেশি। আসলে সিলিং ফ্যান ঘর ঠান্ডা করে না। বরং গরম করে।
6. স্বস্তি দেয় !
সিলিং ফ্যান ঘর ঠাণ্ডা করে না। আমাদের শরীরের উপর দিয়ে হাওয়া গেলে স্বস্তি অনুভব হয় মাত্র। এটিকে ইভাপরেটিং কুলিং বলে। সিলিং ফ্যান ইভাপরেটিং কুলিং ও কনভেকটিভ কুলিংয়ের মাধ্যমে আমাদের শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে ।
যদি ফ্যানের হাওয়া সরাসরি আপনার গায়ে না লাগে তবে কোনও রকমের উপকারিতা তো আপনি পাবেনই না, বরং আপনার ঘর গরম করবে সিলিং ফ্যান।
আপনি দেখে নিতে পারেন ভারতের সেরা দশটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের তালিকা
7. যত বড় তত ভালো
সিলিং ফ্যান যত বড় হবে, ফ্যানের কার্যকারিতা তত বাড়বে। ছোট ফ্যান দেখতে ভালো হলেও, সেই ফ্যানে হাওয়ার পরিমাণ কখনই বড় ব্লেডের ফ্যানের সমান হবে না। তাই এবার থেকে যেকোনো ফ্যান কেনার আগে ফ্যানের প্লেট বড় দেখে তবেই কিনবেন।
কিছু বেস্ট সেলিং সিলিং ফ্যানের সুপারিশ রইল, দেখতে পারেন। আর আপনি এখন 45% অবধি ডিসকাউন্ট পেতে পারেন। আরো জানতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুণ।
1. Bajaj Frore 1200 mm Ceiling Fan (Brown)