মহাকাশ থেকে আসলো ভীনগ্রহী এলিয়েন সংকেত ? | The Wow! signal from space 1977

মানুষের সভ্যতা যত বেড়েছে, ভিনগ্রহী এলিয়েনদের নিয়ে মানুষের মনে উৎসাহও ততটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরো পৃথিবীতে শুরু হয়েছে নানান রকম গবেষণা। উঠে এসেছে বি

আদিমকাল থেকেই মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন, আমরা কি এই বিশাল মহাবিশ্বে একা ? নাকি আমাদের সঙ্গে আমাদের প্রতিবেশী ও আছে ? আমাদের উন্নতির পেছনে কি এমন কারণ রয়েছে যা অন্য প্রাণীদের আমাদের থেকে আলাদা করে ? আদৌ কি আমরা পৃথিবীর বাসিন্দা নাকি আমরাই সেই এলিয়েন যারা অন্য কোন গ্রহ থেকে এসে পৃথিবীতে বসবাস করা শুরু করেছি। এলিয়েনরা কি সবসময়ই মানুষের ক্ষতি করবে নাকি উপকারী এলিয়েন বলে কোন বস্তু হয়? 


প্রশ্ন অনেক থাকলেও, উত্তর কিন্তু অধরাই থেকে গিয়েছে।

আসলে মানুষের সভ্যতা যত বেড়েছে, ভিনগ্রহী এলিয়েনদের নিয়ে মানুষের মনে উৎসাহও ততটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরো পৃথিবীতে শুরু হয়েছে নানান রকম গবেষণা। উঠে এসেছে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য। 

বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের দাবি আমাদের আকাশগঙ্গাতেই অন্তত এমন চারটি সভ্যতা রয়েছে যা মানুষের তথা পৃথিবী অকল্পনীয় ক্ষতি করতে পারে। ধ্বংস করে দিতে পারে মানব সভ্যতা।

যেমন 1977 সালের এলিয়েনদের পাঠানো একটি সংকেত আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। আসলে এই সংকেতটি ছিল মোট 62 সেকেন্ড ধরে চলা একটি রেডিও তরঙ্গ। এই রেডিও তরঙ্গে বিভিন্ন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।  টেলিস্কোপ টি ছিল ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি তে। হঠাৎ করেই 1977 সালের 15 ই আগস্ট ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটি থাকা একটি বড় টেলিস্কোপে ধরা পড়ে এক ধরনের আলফানিউমেরিক কোড ।

এই কোড বোঝা মানুষের পক্ষে অতটা সহজ ছিলো না। বিজ্ঞানীদের অনেক গবেষণার পর, তারা জানান  এই কোডটিতে আসলে লেখা আছে "WoW"  ওয়াও ইংরেজি ডাবলু ও ডাবলু । বাংলা মানে দারুণ । 

কোনদিক দিয়ে দারুণ তার কোনো সঠিক উত্তর বিজ্ঞানীদের কাছে।

গবেষকরা আরো জানান যে এই সংকেতটি  প্রায় 1800 আলোকবর্ষ দূরের একটি অতি উজ্জ্বল নক্ষত্র থেকে এসেছে । 

আপনি আরও পড়তে পারেন সিলিং ফ্যানের অজানা আকর্ষণীয় তথ্য

বিজ্ঞানীরা সেই আলফানিউমেরিক কোড ডিকোট করতে অনেক পরীক্ষা চালান। তাদের এই বিষয়ে গবেষণা করার সময় আকাশগঙ্গায় এরকম অতি উজ্জ্বল নক্ষত্র  প্রায় সাড়ে পাঁচশোর মতো দেখতে পান তারা। এবং সেই সকল নক্ষত্রমণ্ডলীকেই পর্যবেক্ষণে রাখেন বিজ্ঞানীরা ।

গভীর পর্যবেক্ষণে রাখার মধ্যে দিয়ে তারা বুঝতে পারেন, যে সমস্ত নক্ষত্র বা তারার তাপমাত্রা মোটামুটি 4500 থেকে 6000 কেলভিন এর মধ্যে রয়েছে, সেরকম কোন নক্ষত্র থেকে আসতে পারে সেই রেডিও তরঙ্গ। 

কি বোঝাতে চাইছে ভিনগ্রহী এলিয়েন ?  জানতে হলে আমাদের আরও কিছু দিন বা বছর অপেক্ষা করতে হবে।

অনেক গবেষণার পরেও আমাদের অনেক কিছুই অজানা রয়ে গেছে, তবে গবেষণার আসল উদ্দেশ্য হলো পৃথিবীর অন্যান্য বিজ্ঞানীদের আগেভাগেই সতর্ক করা ও ভবিষ্যতে এরকম এলিয়েন বার্তা যদি আবার আসে তার উপরে নজর রাখা ও বোঝার চেষ্টা করা

কিন্তু ভয়ের ব্যাপার  বিজ্ঞানীদের দাবি পৃথিবীকে আক্রমণ করতে পারে এরকম এলিয়েন সভ্যতা  সংখ্যা আমাদের গ্যালাক্সিতে আছে চারটি। এছাড়া পৃথিবী থেকেও বিভিন্ন গ্রহ ও এলিয়েনদের জন্য রেডিও ওয়েবের মাধ্যমে  সংকেত পাঠানো হয়। এই বিষয়ে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করেন। অনেক বিজ্ঞানীদের দাবি এরফলে অচিরেই ঘনিয়ে আসতে পারে পৃথিবীর উপর এলিয়েন হামলা। আর যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এর এই মতে সম্মতি ছিল।আপনি আরও পড়তে পারেন ঃ স্টিফেন হকিং এর রোমাঞ্চকর অবিশ্বাস্য কিছু ভবিষ্যদ্বাণী ও থিওরি।

 মানুষের সাইকোলজি এইরকম যে তাকে যা বারন করা হয়,  সে সেটা বেশি করে করে। আর ভীনগ্রহীর খোঁজ করা অনেকটা সেইরকমই ব্যাপার। আদিম সভ্যতার থেকে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে মানুষ তার কৌতহল ও ইচ্ছা শক্তির জন্যেই আসতে সক্ষম হয়েছে।

কিন্তু ভীনগ্রহী এলিয়েন খোঁজ করা অনুচিত এই মত অনেকের। আর আমাদের এই পৃথিবীর বাইরেও যে প্রানের অস্তিত্ব আছে, এটাও প্রমাণ করলো এই রেডিও ওয়েব সিগনাল। তবে স্বচক্ষে এখনো মানুষের সঙ্গে এলিয়েনের দেখা হয়নি।

তবে এটাও ঠিক যে এখুনি এতো ভয়ের কিছু নেই। প্রথমত, হয়তো সব ভীনগ্রহী এলিয়েন ভয়ঙ্কর হবে না। আর দ্বিতীয়ত, বহিঃবিশ্ব থেকে কোনো ভীনগ্রহী এলিয়েন এসে পৃথিবীর ধংস্ব করবে তার সম্ভাবনা ১০০ মিলিয়ন বছরের একবারই হয়, তাই এই বিষয়ে চিন্তার কারন নেই।

আর যদি ভয়াবহতার দিকে বলতে হয়,  তবে বলবো একটি গৃহানুর সাথে পৃথিবীর যদি ধাক্কা লাগে তাহলে যে বিপদ ঘটবে, এলিয়েনের হামলা তার চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন