want to read facts in english Click here

স্টিফেন হকিং এর রোমাঞ্চকর অবিশ্বাস্য কিছু ভবিষ্যদ্বাণী ও থিওরি।

মানব সভ্যতার ধংসের জন্য মানুষই দ্বায়ী। আসলেই তাই। পৃথিবীতে যেভাবে গাছ কাটা শুরু হয়েছে তাতে হয়তো পৃথিবী আর কয়েকশো বছরই বাঁচবে। অধিক পরিমাণ গাছ কাটার ফ

স্টিফেন হকিং এর দেওয়া আজব ও অবিশ্বাস্য কিছু অবাক করা ভবিষ্যদ্বাণী

স্টিফেন হকিং মনে হয় না আলাদা করে তার পরিচয় দেওয়ার কোনো প্রয়োজন হবে। বিশ্ববিখ্যাত প্রথম সারির পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং তার জীবদ্দশায় করে গেছেন বিভিন্ন ধরনের আবিষ্কার। 

সঙ্গে বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং অন্যান্য মহান বিজ্ঞানীদের মতোই, করে গেছেন কিছু বিশেষ ভবিষ্যদ্বাণী। ও প্রকাশ করে গেছেন কিছু অবিশ্বাস্য থিওরি। 

আজ আমরা কথা বলেছি স্টিফেন হকিং এর দেওয়া আজব ও অবিশ্বাস্য কিছু অবাক করা ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে। যা আপনাকে চমকে দিতে চলেছে। ও সঙ্গে স্টিফেন হকিং এর কিছু অদ্ভুত থিওরি থাকছে আজকের প্রতিবেদনে। তো পাশে থাকা চেয়ারে বসে পড়ুন। কারন আপনি সুপার এক্সাইড হতে চলেছেন। 



শুরু করছি রোমাঞ্চকর স্টিফেন হকিং এর অদ্ভুত কিছু ভবিষ্যদ্বাণী ও থিওরি। 


1. বিগ ব্যাঙ্গ এর আগে কি ছিল ?



আমরা সবাই জানি আমাদের ইউনিভার্স তৈরি হয়েছে একটি বিশাল বিস্ফোরনের  মাধ্যমে । আর এই বিস্ফোরনের নাম বিগ ব্যাঙ্গ ও এই থিওরির নাম বিগ ব্যাঙ্গ থিওরি। হ্যাঁ বিগ ব্যাঙ্গ এর মাধ্যমেই আমাদের মহাবিশ্বের সৃষ্টি। এবং আমাদের ইউনিভার্স সেই বিস্ফোরণের দিন থেকে  প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। যেমনটা একটা বেলুনে হাওয়া দিলে হয় তেমনি।

কিন্তু অনেক চিন্তা করেও কেউ বুঝতে পারছিলেন না যে বিগ ব্যাঙ্গ এর আগে কি ছিল ? এতো বিশাল ইউনিভার্স কি সত্যিই একটি ছোট্ট বিন্দুর মধ্যে ছিল ? 

কিছু বিজ্ঞানীর মতে হ্যাঁ, আমাদের পুরো জগত সংসার এই বিশাল ইউনিভার্স একটি সুসম বিন্দুমাত্র ছিল , এবং হঠাৎ এক বিস্ফোরণের মাধ্যমে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। 

তবে বর্তমানে অনেকে আছেন যারা এই তত্ত্বে সন্তুষ্ট নন। এমনকি অনেক বিজ্ঞানীও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। 

স্টিফেন হকিং এইসব বিজ্ঞানীদের তালিকায় নেই। তিনি বিগ ব্যাঙ্গ থিওরিকেই ঠিক বলেছেন। তবে একবার স্টিফেন হকিংকে ইন্টারভিউতে এই প্রশ্নটি করা হয়েছিল যে,

বিগ ব্যাঙ্গ এর আগে কি ছিল ?

তখন তিনি জানান,  কিছুই না। 

ইন্টারভিউয়ার হকচকিয়ে গেলে স্টিফেন হকিং বুঝিয়ে বলেন যে, "যেমন দক্ষিণ মেরুতে গিয়ে দক্ষিণ দিক নির্ণয় করা অসম্ভব, তেমনি যখন ইউনিভার্স ছিল না তখন কি ছিল জানাও অসম্ভব।"

 সহজ ভাষায় বললে, মনে করুন মহাবিশ্বে সময় নেই। তাহলে আগামীকাল ও গতকাল কি করে থাকবে ? তাই মহাবিশ্বের কোনো কিছু না থাকলে তার আগেও কিছু নেই। অন্তত বর্তমানের পেক্ষাপটে এটাই ঠিক।.

2. মহাবিশ্বের ধংস 


আমরা ইতিমধ্যে জানি আমাদের ইউনিভার্স প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে মানে প্রসারিত হচ্ছে। যার কারনে একটি গ্যালাক্সি অন্য গ্যালাক্সি থেকে ক্রমশ দুরে সরে যাচ্ছে।

 ভেবে দেখেছো কি ? তারারাও যত আলোকবর্ষ দূরে, তুমি আর আমি .... না আমরা দূরে নয় আরো কাছে আসছি। আপনি আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারেন। ও fanfact.in bookmark করে ফেলুন 

সঙ্গে গ্যালাক্সির সব অবজেক্ট ও একে অপরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। গ্রহ, তারা , উপগ্রহ সব সবকিছু। বিজ্ঞানীদের মতে ইউনিভার্স এই ভাবে প্রসারিত হতে হতে একদিন আবার বিস্ফোরিত হবে , যেমন বেলুনে বেশি হাওয়া দিলে বেলুন ফেটে যায় তেমনি। এবং সেখানেই আবার ইউনিভার্স পূননির্মান আবার শুরু হবে।

তবে আপনার ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারন স্টিফেন হকিং এর মতে, যখন মহাবিশ্বের মহাধংস হবে  তখন মানবজাতির অস্তিত্ব থাকবে না। তার মতে মানব সভ্যতার সময়কাল খুবই সীমিত। আর আমাদের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। খুব শীঘ্রই আমাদের সভ্যতাও ডাইনোসরের মতো অতীত হতে চলেছে। তখন আমার এই লেখা কে পড়বে ? কে জানে !

তবে স্টিফেন হকিং শুধু ভয় দেখাননি,  তিনি মানব সভ্যতার ধংসের প্রধান পাঁচটা কারন ও বলেছেন। যেমন, 

2.1  সাইন্টিক্যাল জেনেটিক ভাইরাস হামলা

 স্টিফেন হকিং এর আশঙ্কা ছিল, কোনো সাইন্টিক্যাল জেনেটিক ভাইরাস হামলা বা পরিবর্তন নিয়ে।  এটা নিউক্লিয়ার বোমা হামলায় থেকেও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। হয়তো আমরা এমন কোনো জেনেটিক ভাইরাস ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছি, আবার নাও হতে পারে। আপনার কি এমন কোনো ভাইরাসের কথা মনে হচ্ছে যা ল্যাবরেটরিতে সৃষ্টি হয়েছে বলে আপনি মনে করেন ? কমেন্টস করতে ভুলবেন না। ভবিষ্যতে কোনো মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ ল্যাবরেটরিতে সামান্য ডিএনএ পরিবর্তন করে অন্য কোনো  দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করলে অবাক হবেন না। কারন স্টিফেন হকিং এর মতে এমনই হতে পারে বলে তার আশঙ্কা। 

2.2 পরমানু বোমার আঘাতে ধংস

দ্বিতীয়ত তার আশঙ্কা,  মানবতা কোনো অদক্ষ নেতার কারনে পরমানু বোমার আঘাতে ধংস হয়ে যাবে। বর্তমানে বিশ্ব রাজনীতিতে  যা অবস্থা সাংঘাতিক কোনো যুদ্ধ বেঁধে যাওয়াটা কোনো বড় ব্যাপার নয়। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি,  আমেরিকার সেই দেশ যে তার ক্ষমতা দেখানোর জন্য 1959 সালে চাঁদে পরমাণু বোমা ব্যবহার করে ধংস করতে চেয়েছিল। বর্তমানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের  যুদ্ধ,  আগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যুদ্ধ। একটু চিন্তা করে দেখুন,  পৃথিবীতে যুদ্ধ কিন্তু লেগেই আছে। আর এরই মাঝে বড় কোনও পরমানু হামলার দামামা বেজে ওঠাটা কিছুই বিশ্বয়ের নয়।

2.3 টেকনোলজিতে অধিক থেকে অধিকতর উন্নয়ন

আচ্ছা ঠিক আছে। আমরা প্রযুক্তিতে অনেক উন্নতি করেছি, তাই আগের দুইটি পরিস্থিতিতে আমরা বেচে গেছি। কিন্তু তারপরও আমরা মানে মানব সভ্যতার বিনাশ নিশ্চিত।

স্টিফেন হকিং মনে করেন টেকনোলজিতে অধিক থেকে অধিকতর উন্নয়নের কারনেও মানব সভ্যতার অবসন অসম্ভব নয়, বরং তা আগের দুই পরিস্থিতির থেকেও সহজ ও দ্রুত সম্ভব।

 আর্টিফিসিয়াল ইন্টালেজেন্সি (artificial intelligence) ও রোবোটিক সাইন্স যে ভাবে প্রসারিত হচ্ছে, তারা কোনো দিন মানব জাতির উপর হামলা করে দিতেই পারে।

 আমি স্টিফেন হকিং এর এই তৃতীয় আশঙ্কার সঙ্গে কিছুটা একমত। কারন আমি মনে করিনা যে মানুষ আর্টিফিসিয়াল ইন্টালেজেন্সি বা রোবটের মতো এতো দ্রুত কোনো স্কিল বা দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। এবং একসময় দেখা যাবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টালেজেন্সি মানুষের থেকেও উন্নত হয়ে গেছে। তখন হয়তো তারা মানবজাতির অস্তিত্ব ধংস করতে চাইবে।

 এই কারণই  অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি আর্টিফিসিয়াল ইন্টালেজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যাবে, এমন প্রযুক্তির আবিষ্কারে জোর দিচ্ছেন।  এই তালিকায় ইলন মাস্ক, ও লেরি পেজ ও আছেন।

তবে অনেকের মতে এমন কিছুই হবে না। আর্টিফিসিয়াল ইন্টালেজেন্সি ও রোবট যতই উন্নত হোক তারা মানুষের অনুগত ও অধীনেই নিজেকে রাখতে চাইবে। আসল উত্তর কারো জানা নেই । এই উত্তর সময় বলে দেবে।

2.4 ভীনগ্রহী এলিয়েন হামলা 

খুব শীঘ্রই হয়তো আমাদের দেখা হয়ে যেতে পারে, উন্নত কোনো ভীনগ্রহী এলিয়েন দের সঙ্গে। পৃথিবী থেকে প্রতিনিয়ত মহাকাশে সিগনাল পাঠানো হচ্ছে, কোনো অ্যাডভান্স সিভিলাইজেশনের জন্য। বিজ্ঞানের যেভাবে উন্নতি হচ্ছে, ও যত রকমের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে মহাকাশ গবেষণা হচ্ছে, তাতে হয়তো আমাদের দেখা হয়ে যেতে পারে উন্নত কোনো ভীনগ্রহী এলিয়েন দের সঙ্গে। 

স্টিফেন হকিং মনে করেন যে এই রকমভাবে মহাকাশে কোনো সিগনাল পাঠানো কোনো ভাবেই ঠিক হচ্ছে না।

 ভীনগ্রহী এলিয়েনরা সবসময় খারাপ হবে এমন নয়, তবে মানুষের থেকে আধুনিক প্রযুক্তির কোনো সভ্যতা শুধু শুধু কেন এতো সময় ও পরিশ্রম খরচ করে মানুষের উপকার করবে ? 

আমি একটু সহজ করে দিচ্ছে,  মনে করুন আমরা মঙ্গলে বসবাসের জন্য আমাদের রকেট নিয়ে রওনা দিলাম, কিন্তু মঙ্গলে পৌচ্ছে দেখলাম যে ওখানে মুরগির মতো উপাদেয় প্রানী ঘুরে বেড়াচ্ছে! 

আমরা কি করবো ? 

 হ্যাঁ আপনি ঠিকই ভাবছেন। নিশ্চয়ই আমারা সেই প্রানীদের সাহায্যে করবো , কিন্তু তাদের প্রোল্টি বা ফার্ম বানাতেও আমাদের বেশি সময় লাগবে না।

আর একটা উদাহরণ দিলে আরো ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন।

 মনে করুন আপনি একটা কাঠবেড়ালি আর উন্নত এলিয়েনরা হলো মানুষ যার ওই গাছটা লাগবে যে গাছটিতে আপনি আপনার পরিবার নিয়ে সুখে ও শান্তিতে বসবাস করছেন।

 সে মানে, সেই এলিয়েন কি আপনার কথা চিন্তা করবে ?

 হ্যাঁ স্টিফেন হকিং এই সম্ভাবনার কথাই বলেছিলেন। আর তাই তার চতুর্থ আশঙ্কা যে, কোনো উন্নত ভীনগ্রহী এলিয়েন হামলায় মানব সভ্যতার অবসন  ঘটতে পারে।

 আর এটা কবে ঘটবে বলা খুবই মুশকিল। হতে পারে কয়েক ঘন্টা পরেই বা কয়েক লক্ষ বছরেরও এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো না। পুরোটাই ভাগ্যের উপর নির্ভর করছে।

2.5 অ্যাসিড বর্ষা

 পৃথিবীর পরিবেশ অতি মাত্রায় দুষিত হয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে গ্লোবাল ওয়ার্মিং যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। যার কারনে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। এই কারনে পৃথিবীতে শুরু হতে পারে অ্যাসিড বর্ষা। 
আসলে আমাদের পৃথিবীর বর্ষার জল ধীরে ধীরে অম্ল হচ্ছে। আমরা আমাদের প্রযুক্তির উন্নয়নে এতো আগ্রহী যে আমাদের কোমল সুন্দর পরিবেশের দিকে আমরা ঘুরেও দেখছি না । 
সঙ্গে কলকারখানার প্লাস্টিক, বিষাক্ত গ্যাস ও রাসায়নিক পরিবেশের ভারসাম্য একেবারে নষ্ট করে দিচ্ছে। 
পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ার কারনে "মরার উপর খাঁড়ার ঘা" হিসেবে দুই মেরুর বরফ গলে যাচ্ছে। ও ওজনস্তরের  অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। পৃথিবী ধীরে ধীরে একটা আস্তাকুরে পরিনত হচ্ছে।
আর এইসব দেখেও কোনো মানুষের কোনো মাথাব্যথা নেই।
 তাই স্টিফেন হকিং এইসব দেখে একবার বলেছিলেন যে,  মানব সভ্যতার ধংসের জন্য মানুষই দ্বায়ী
 আসলেই তাই। পৃথিবীতে যেভাবে গাছ কাটা শুরু হয়েছে তাতে হয়তো পৃথিবী আর কয়েকশো বছরই বাঁচবে। অধিক পরিমাণ গাছ কাটার ফলে পৃথিবীতে অ্যাসিড বর্ষা শুরু হবে। কোথাও কোথাও অ্যাসিড বর্ষার ফলে অ্যাসিড বন্যাও হতে পারে । একবার কল্পনা করুন! পৃথিবী তখন একটা নরকে পরিণত হবে। তাই সময় থাকতে এখন থেকেই আমাদের সুন্দর পৃথিবীকে সুন্দর করেই রাখুন। 

এতোক্ষণ আমি আপনাকে স্টিফেন হকিং এর  খারাপ আশঙ্কা গুলি জানাচ্ছিলাম। এবার আসুন একটু ভালো কথাও জেনে নিই

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং


সব বাবা-মা ই চান তাদের সন্তান যেন পারফেক্ট হয়। বড় হয়ে যেন ভালো গায়ক বা ক্রিকেটার কিংবা ভালো ডাক্তার হতে পারে। কিন্তু সবসময় তা হয়না।


 সন্তানের মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশের মাধ্যমে সে বড় হয়ে তার মতো করে জীবন তৈরি করে। মা-বাবা তাতে নিজেদের মতামত ও সাহায্য করলেও প্রধান কাজ কিন্তু সন্তানকেই করতে হয়।


 যদি সন্তানের গানের গলা খারাপ হয়, বাবা মা যাই করুক না কেন সন্তানের গলা পেশাদার গায়কের মতো করে দিতে পারবেন না।


 কিন্তু তখন কেমন হবে যখন অভিভাবক চাইলেই তার সন্তানের মধ্যে একমিনিটেই কোনো প্রতিভা বা দক্ষতা লোড করে দিতে পারবে।


 হ্যাঁ এমনটাই হবে আগামী পৃথিবীতে। আর তার সন্তান একমিনিটেই যেকোনো বিষয়ে হয়ে যাবে মাস্টার্স। আসলে বর্তমানেই এমনটা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন ফসল ও প্রানির উপর যেমন ফার্মের মুরগি ও হাইব্রিড ফসল। 


চিকিতসা শাস্ত্রেও এমনটা হচ্ছে।  তবে ছোটোখাটো বিষয়ে যেমন, বিজ্ঞানীরা কিছু বছর আগে থ্রীডি প্রিন্টিং ও আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজন্সির মাধ্যমে একটি মানুষের হৃদপিন্ড তৈরি করেন, যেটা  একেবারে সাধারণ মানুষের হৃদপিন্ডের মতোই কাজ করছিল। 
আরো অবাক হবেন জেনে বিজ্ঞানীরা একটি গর্ভাশয় ও তৈরি করেছিলেন, এবং সেটাও অনেকটা সাধারণ গর্ভাশয়ের মতোই কাজ করছিল। 


স্টিফেন হকিং মনে করতেন যে মানুষ কয়েক বছরের মধ্যেই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং শুরু করে দেবে। কিংবা হয়তো গোপনে শুরু করেও ফেলেছে।


জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে  কোন প্রাণীর জেনেটিক নিজের ইচ্ছেমতো মডিফাই করতে পারা এই টেকনিক যখন অনেক বেশি এডভান্স লেভেলে চলে যাবে তখন পিতা-মাতারা সন্তানদের মডিফাই করে জন্ম দিতে পারবেন। আর যদি এমনটাই হয়ে যায় তাহলে জন্মগত ট্যালেন্টেড,  কম্পিটিশন এরকম কোন শব্দ পৃথিবীতে আর থাকবেনা  আর এরই নাম জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং। 

আর এরকম হলে পৃথিবী কিরকম হবে আপনি কল্পনা করতে পারছেন সবাই হবে একদম পারফেক্ট নিউটনের মত বুদ্ধিমান,  শাহরুখ খানের মতো হ্যান্ডসাম। আপনি কি এরকম পৃথিবী চান কমেন্টে জানান।
 

অন্য গ্রহে বসবাস !



স্টিফেন হকিং মনে করতেন, পৃথিবীতে প্রযুক্তি সাধারণের থেকে অনেক দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।  যেটা অন্য গ্রহে মানুষের বসবাস করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে অনেক বেশি সাহায্যে করবে।


 স্টিফেন হকিং নিজে ভীনগ্রহে বসবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। স্টিফেন হকিং সবসময়ই মনে করতেন, মানব সভ্যতা আগামী কিছু বছরের মধ্যেই মঙ্গল বা চাঁদে বসবাস শুরু করবে।


তার আন্দাজ ছিল আনুমানিক 30-50 বছরের মধ্যেই মানুষ মঙ্গলে মানব সভ্যতার সূচনা করতে পারবে। আর এইভাবেই মানুষ শুরু করবে তার ইন্টারপ্লানেটারি স্টিস্টেম।
 তবে ইলন মাস্ক , জেফ বেজস ও আরো এরকম ব্যক্তিগত স্পেস প্রজেক্টের কারনে আমার মনে হয় 30 বছরের আগেই মানুষ মঙ্গলে তার ঘাঁটি গড়তে সফল হবে।

তো কেমন লাগলো আজকের আমাদের নিবেদন কমেন্টসের মাধ্যমে অবশ্যই আমাদের জানাবেন।  এবং বলুন এরপর আপনি কোন বিষয়ে পড়তে চান ? 

শেয়ার করতে ভুলবেন না যদি আপনার ভালো লেগে থাকে।  আর নিচে দেওয়া সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের আপনি ফলো করতে পারেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

© Fanfact.in. All rights reserved. Distributed by Techy Darshan Distributed by Pro Templates