মুরগীর আকর্ষণীয় সাতটি ফ্যাক্ট | amazing facts about Chicken in bengali

মুরগী অনেক বুদ্ধিমান প্রাণী৷ মুরগীর শেখার ক্ষমতা কুকুরের থেকেও বেশি! এমনকি একই ট্রেনিং প্রাপ্ত কুকুর ও মুরগীর মধ্যে, মুরগীই ভাল ফল করবে!

 যদি আপনাকে বলি মানুষ ছাড়া কিছু প্রানী সেক্সুয়াল ডিপ্রেশনে থাকে। তখন এর উত্তরে আপনি কি বলবেন? 
ডায়নাসরের উত্তরসূরী এই প্রাণীটি সিংগেল বা একাকিত্ব থাকার সময় সেক্সুয়াল ডিপ্রেশনে ভোগে, ও সঙ্গীদের খুঁজতে থাকে।
 
যদি আপনি আপনার মুরগীকে অন্য মুরগীদের থেকে আলাদা করে রাখেন তবে আপনি দেখবেন তারা একটু বাদে বাদেই অন্য মুরগী দের খুঁজতে থাকে।
মুরগীকে আপনি  যদি স্নেহ  বা  প্রেম করতে না দেন, তাহলে কিন্তু আপনার মুরগী ডিপ্রেশন এ চলে যাবে!  

অবাক হচ্ছেন তাই তো? ভাবছেন মানুষ ছাড়াও কেউ আবার  ডিপ্রেশন এ পরতে পারে নাকি! 

আপনার উত্তর হলো , হ্যাঁ অবশ্যই পারে। তাও আমাদের আশপাশের একটা অতি পরিচিত প্রাণী, মুরগী৷

মনে করুন আপনার একটি সুন্দর মুরগী আছে!  আপনি তাকে ভালো করে খেতে দিলেন, ভালো  থাকার জায়গাও দিলেন৷  কিন্তু তাকে তার সঙ্গী থেকে দুরে রাখলেন৷  তখন সেটির সেক্সুয়ালি ডিপ্রেশনে পরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে!  

ব্যাপারটা মজার না? 


চলুন মুরগী সম্পর্কিত এমন আরও আশ্চর্যজনক কয়েকটা বিষয় আপনাকে জানাই ! 

তবে শুরু করার আগে নতুন পোস্ট বা আর্টিকেল এর ইমেইল নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য আপনি এখানে ক্লিক করতে পারেন। ক্লিক করার পর আপনার নাম ও ইমেইল দিয়ে সাবমিট করে দেবেন
শুরু করছি...




 1)  মুরগী অনেক বুদ্ধিমান প্রাণী৷ মুরগীর শেখার ক্ষমতা কুকুরের থেকেও বেশি!  এমনকি একই ট্রেনিং প্রাপ্ত  কুকুর ও  মুরগীর মধ্যে,  মুরগীই ভাল ফল করবে!  

2) আপনি কি জানেন? মুরগীর মস্তিষ্ক ও দৃষ্টি শক্তি দুটোই মানব মস্তিষ্ক ও চক্ষু থেকে অনেক শক্তিশালী। মুরগী অনেক কম সময়ের ভিতর হাজারটিরও বেশি ছবির মধ্যে পার্থক্য ধরে ফেলার ক্ষমতা রাখে।
কিন্তু  মুরগী  আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি (UV ray) দেখতে পায়৷ যা মানুষ দেখতে পায় না৷  তাই আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি দেখতে না পাওয়ার ফলে মানুষ একটি বস্তকে যতটা স্পষ্ট দেখে, মুরগী ততটা স্পষ্ট দেখে না৷ 

3) মুরগী তার চোখ প্রায় ৩১০°  পর্যন্ত ঘুরাতে সক্ষম।  আর চোখের দুদিক দিয়ে পিছনে সম্পূর্ণ দেখতে পারে৷  যার ফলে আপনি  আপনার মুরগীকে পিছন থেকে ধরতে পারবেন না। যদি না মুরগীর ইচ্ছা হয় ধরা দেবার। এই কারনে কুকুর বা ওই জাতীয় কিছু যদি মুরগীকে শিকার করতে যায়  মুরগী ঠিকই টের পাবে। কিন্তু অন্যমনস্ক থাকলে ধরা সম্ভব।

আপনি আরও পড়তে পারেন ঃ প্যারিসের দশটি মজাদার, আকর্ষণীয়, এবং অজানা দুর্দান্ত ফ্যাক্ট।

4) মুরগী তার দু চোখকে সর্বদা সে দুটি কাজে ব্যবহার করে৷  বাম চোখে মুরগী  সর্বদা দূরের বস্তকে লক্ষ্য রাখে৷  আর ডান চোখে লক্ষ্য রাখে নিকটের বস্তকে। যার  ফলে খাবার খাওয়ার সময় ডান চোখে সে দানা দেখে আর বা চোখে কোনো শিকারি আছে কিনা তা দেখে৷ 

5) অন্যান্য পাখির মতোই  মুরগীরও  লেজের কাছে একটি তৈলগ্রন্থি থাকে৷  এ থেকে নিঃসৃত তেল দ্বারা নিজের পালকের সৌন্দর্য রক্ষার পাশাপাশি বৃষ্টির জল থেকেও নিজেকে রক্ষা করে মুরগী। আর এই কারনেই মুরগী  প্রায় ওয়াটার প্রুফ থাকে৷ বিশ্বাস না হলে মুরগীর গায়ে জল দিয়ে ট্রাই করে দেখতে পারেন।

কখনো কখনো তৈলগ্রন্থি নিঃসৃত তেল মুরগীর শরীরে একটা আঠা আঠা ভাব তৈরি করে। এর থেকে  রক্ষা পেতে মুরগীকে ধূলার মধ্যে গড়াগড়ি করতে দেখা যায়। এটাকে ডাস্ট ব্যাথিং বলে। ডাস্ট ব্যাথিং মুরগী সহ প্রায় সকল পাখির পরিচ্ছন্ন থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  মুরগীর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডাস্ট ব্যাথিং।

6) যৌন মিলনে মুরগীকে আকৃষ্ট করার জন্য মোরগকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়৷ যেমন নিজের শরীরের পালক ও কেশরের সৌন্দর্য রক্ষা করা। পাশাপাশি শিকারীর আভাস পেলে সবাইকে ডেকে সতর্ক করা। আবার কোনো সুস্বাদু খাবার পেলে মুরগী সঙ্গীদের  ডেকে আনা। এক কথায় পুরো নেতৃত্ব দেওয়া ও নেতা নেতা ভাব আনা!
 যার ফলে মুরগীরা নেতার প্রতি আকৃষ্ট হয়!

আপনি আরও পড়তে পারেন ঃ 10 টি কম্পিউটার স্কিল যা আপনার অবশ্যই জানা উচিত
 
7) অনেক সময় দুটি মোরগকে ঝগড়া বা  দন্দ করতে দেখা যায়৷  এই দন্দ অনেক কারনে হয়ে থাকে৷ যেমন খাবার বা নেতৃত্ব ধরে রাখতে। কিংবা  একই প্রেমিকার জন্য!
কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই প্রেমিকার জন্যই এ লড়াই হতে দেখা যায়! কিন্তু  মুরগী সিনেমার নায়িকার মতো না।  তাই এ লড়াইয়ে সর্বদা জয়ীকেই সে  তার প্রেমিক বানায়!

কেমন লাগলো আপনার আমাদের প্রতিবেদন ? কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। আমাদের facebook page ফলো করতে ভুলবেন না। বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন, যদি আপনার ভালো লেগে থাকে। আর যেকোনো নতুন পোস্ট বা আর্টিকেল এর ইমেইল নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য আপনি এখানে ক্লিক করতে পারেন। ক্লিক করার পর আপনার নাম ও ইমেইল দিয়ে সাবমিট করে দেবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন