হলুদ দাঁত সাদা করার দশটি খুব সহজ ঘরোয়া উপায়
সুন্দর হাসির জন্য চকচকে দাঁতের বিকল্প নেই। তাই দাঁত সাদা ও ঝকঝকে করার জন্য আমরা কত কিছুই না করি। হলদে দাঁতের জন্য কেউ কেউ লোকের সামনে অস্বস্তি বোধ করি। কিন্তু নিয়মিত দাঁতের যত্ন করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কিন্তু সুন্দর দাঁতের যত্ন নিতে বছরে একবার ডেন্টিসের কাছে যাওয়া উচিত। হলদে দাঁতকে ঝকঝকে করার জন্য রইলো কিছু ঘরোয়া উপায়।
আসুন জেনে নেওয়া যাক দাঁত সাদা ও ঝকঝকে করার ঘরোয়া উপায়।
লেবুর রস
দাঁত সাদা ও ঝকঝকে করতে লেবুর কোন বিকল্প নেই। লেবু আপনি বাজারে খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। দাঁত মাজার সময় এক চিমটি লবণ ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দাঁত মাজলে খুব সহজেই সাদা হয়। এছাড়া ওর লেবুর খোসা দিয়ে আপনার দাঁত স্ক্রাবিং করতে পারেন। দেখবেন দাঁত সাদা ও ঝকঝকে হবে।
বেকিং পাউডার
দাঁত সাদা করতে বেকিং পাউডার একটি খুবই কার্যকরী উপাদান। একটি ব্রাশ ভিজিয়ে নিয়ে তাতে টুথপেস্ট এর সাথে বেকিং পাউডার মিশিয়ে ব্রাশ করলে দাঁত সাদা হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা ঘুমোতে যাওয়ার আগে এটি করা যেতে পারে।
মাশরুম
দাঁত সাদা করতে মাশরুম খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে পলিস্যাকারাইড থাকে। যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং ডেন্টাল প্লাক হতে দেয় না।
কাঠ কয়লা
কাঠ কয়লা ময়লা শাসন করে এবং দাঁত সাদা করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এটা মুখের ভিতরে থাকা ব্যাকটেরিয়া নাশ করে এবং দাঁতকে রোগ জীবাণু থেকে মুক্ত রাখে।
স্ট্রবেরি
স্ট্রবেরির মধ্যে থাকা ভিটামিন - সি দাঁতের দাগের হ্রাস করে। এছাড়াও এই নিয়মিত ব্যবহারে দাঁত উজ্জ্বল থাকে।
নিম
প্রাচীনকাল থেকেই দাঁত মাজার উপকরণ হিসেবে নিম গাছের ডালের প্রচলন ছিল। নিয়মিত এর সাহায্যে দাঁত মাজলে দাঁত সুন্দর ঝকঝকে ও ছোপ মুক্ত হয়ে উঠবে ।
আপনি আরও পড়তে পারেন, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০ টি সহজ ও ঘরোয়া উপায় ?
হাইড্রোজেন প্যেরোক্সাইড
হাইড্রোজেন প্যারোক্সাইড দাঁত পরিষ্কার করার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ব্লিচিং এর বৈশিষ্ট্য যুক্ত হয়। দাঁতের চিকিৎসকরা এই উপকরণটি চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে।
কমলালেবুর খোসা
কমলালেবুর খোসায় ব্রোমেলিন নামের এক ধরনের এনজাইম থাকে, যা দাঁত সাদা করে এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিমাইক্রোবিয়াল হিসেবেও কাজ করে।
সন্ধক লবণ
সন্ধক লবণ দাঁতের হলুদ ছোপ দূর করে একই সাথে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হওয়ার কারণে মুখের ভিতরে রোগ জীবাণু দূর করে।
পেয়ারা পাতা
পেয়ারা পাতা দাঁত পরিষ্কারের জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি মুখের সংক্রমণ ও মাড়ির সমস্যা প্রতিকারের জন্যই মূলত ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এতে উপস্থিত ফ্ল্যভনয়েড দাঁতের ওপর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে ।
আপনি আরও পড়তে পারেন, চুল পড়া বন্ধ করার 10 টি খুব সহজ ঘরোয়া উপায় ?
disclaimer : আমাদের এখানে উল্লেখিত সমস্ত রকম "চুল পড়া বন্ধ করার সহজ ঘরোয়া উপায়" সম্বন্ধে আমরা অনলাইনের বিভিন্ন সাইটের সাহায্য নিয়েছি। যা ঘরোয়া ব্যাবহারে আপানার উপকারে আসবে। আপনার যদি খুব সিরিয়াস চুল পরার লক্ষণ দেখা দেয়, সময় নষ্ট না করে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা এই ১০টি উপায়ের সুফল বা কুফল কোনও কিছুর জন্য দায়ী নই।
কেমন লাগলো আপনার আমাদের প্রতিবেদন ? কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। আমাদের facebook page ফলো করতে ভুলবেন না। বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন, যদি আপনার ভালো লেগে থাকে। আর যেকোনো নতুন পোস্ট বা আর্টিকেল এর ইমেইল নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য আপনি এখানে ক্লিক করতে পারেন। ক্লিক করার পর আপনার নাম ও ইমেইল দিয়ে সাবমিট করে দেবেন।