জিরাফ সম্পর্কে অবাক করা অজানা তথ্য ও মজাদার ফ্যাক্ট

আপনার জানার বাহিরে জিরাফের অজানা তথ্য
 জিরাফের অজানা তথ্য
প্রানীজগতে সকল প্রানীদের মধ্যে কিছু না কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য থাকে। যার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রজাতির প্রানীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এই বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করার কারনে একই বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন প্রানীগুলোকে একসঙ্গে পাওয়া যায়।
যেমন জিরাফ, জেব্রা, হরিন, ছাগল সহ আরও অন্যান্য বন্য প্রানীরা বনের নির্দিষ্ট  অঞ্চল জুড়ে থাকে। ও এদের একই ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়। তবে প্রকৃতিতে প্রতিযোগিতা বা টিকে থাকার লড়াই সর্বদাই বিদ্যমান আর প্রত্যেকে একে অপরের উপর নির্ভরশীল। আর এই কারনেই জিরাফ এতো লম্বা।
এইযে একে অপরের উপর নির্ভশীলতা, এই কারনে যে খাদ্য শৃংখল গড়ে উঠেছে সেখানে বিভিন্ন শ্রেনির খাদক রয়েছে। উচ্চ শ্রেনির খাদক নিম্ন শ্রেনির খাদককে খেয়ে থাকে। এই কারনে যেখানে সেখানে প্রতিযোগিতা বিদ্যমান।

১.অনেকের হয়তো মনে হতে জিরাফ এত লম্বা কেন?

প্রকৃতিতে প্রতিযোগিতা বা টিকে থাকার লড়াইয়ের কারনেই জিরাফ এতো লম্বা। বরফযুগ বা আইসএজে যখন খাবারের অভাব হয় তখন বহু বছরে অল্প অল্প করে জিরাফের জিন গত পরিবর্তনের কারনেই জিরাফ এতো লম্বা হতে পেরেছে। যেমন আমরা মানে মানুষের লেজ বহু আগেই বিলুপ্ত হয়েছে। প্রকৃত অর্থে জিরাফের পা সাধারণের তুলনায় অনেকটা বেশি লম্বা হওয়ার কারনে এবং জিরাফের দীর্ঘ আকারের গলার কারনে জিরাফকে একটু বেশিই লম্বা মনে হয়। তবে এই লম্বা হওয়ার অনেক সুবিধাও আছে।  
২. নিচে জিরাফের লম্বা হওয়ার কিছু সুবিধা ও অসুবিধা তুলে ধরা হল
  1.  প্রথমত, অন্যদের থেকে লম্বা হওয়ার কারনে জিরাফ অনেক দূর থেকেই শিকারীকে দেখতে পায় এবং সময় থাকতে সতর্ক হতে পারে। এভাবে তারা শিকারের হাত থেকে বেঁচে যায়।
  2. লম্বা হওয়ার কারনে জিরাফ খুব সহজেই গাছের পাতা বা উচু কোনো স্থানে থাকা খাবার খেতে পারে। অন্যান্য প্রাণীর সে সুবিধাও নেই। 
  3. লম্বা হওয়ার কারনে জিরাফের অল্প জায়গায় থাকতে একটু কষ্ট হয়। তাই তারা একটু খোলামেলা এলাকাতেই থাকতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করে।
  4. নিচু জায়াগায় কোন কিছু খেতে জিরাফের খুব সমস্যা হয়।
  5. জল খাওয়ার সময় যদি জিরাফের মুখ জল পর্যন্ত না পৌঁছায়, তখন দুই জোড়া পা দুই দিকে ছড়িয়ে দিয়ে নিজের উচ্চতা কমিয়ে জল খাওয়ার চেষ্টা করে। মানুষ যেমন ভাবে দুই পা দুই দিকে ছড়িয়ে দেয়। এই প্রক্রিয়া খুবই কষ্টকর।
৩.জিরাফ এর জীবনকাল কত 
অনেক লম্বা ও বিশাল প্রানী জিরাফ। এতো বড় হওয়ার কারণে আমাদের অনেকেরই মনে হয় যে জিরাফ বেশি দিন পর্যন্ত বাঁচে। তবে বড় প্রানী হলেই যে অনেকদিন বাঁচতে হবে তা এমন কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। জিরাফের জীবনকাল মাত্র ২৫ বছর পর্যন্তই হয়। তুলনামূলক ভাবে জিরাফের চেয়ে অনেক গুন ছোটো প্রানী কচ্ছপের গড় আয়ু দেড়শো বছরের বেশি।
৪. জিরাফের  বাচ্চা জন্ম দান
যে কোন প্রানী যখন বাচ্চা জন্ম দেয় তখন তা অনেকটা নিচু জায়গা হতে বাচ্চা জন্ম দেয়। যাতে করে নবজাতক বাচ্চা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। এখন জিরাফের উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ার কারনে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় এরা বসতে কিংবা শুইয়ে পড়তে পারে না। এই কারনে এদের দাড়িয়ে থেকে বাচ্চা জন্ম দিতে হয়। কিন্তু এদের শরীর তখন মাটি থেকে ১.৫ মিটার উচ্চতায় থাকে। এই উচ্চতা আমাদের কাছে কম মনে হলেও নবজাতকের ক্ষেত্রে অনেক বেশিই। তবে জিরাফ এর বাচ্চা এমন শক্তিশালী হয় যে এই উচ্চতা থেকে পড়ে তার কিছুই হয় না।
জিরাফ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

১. জিরাফ কেন শব্দ করতে পারেনা?
জিরাফের গলায় "ভোকাল কর্ড" নেই বলে এরা কোনো শব্দ করতে পারেনা৷

২. জিরাফের ঘাড়ে হাড়ের সংখ্যা কত ?
মানুষ এবং জিরাফের ঘাড়ের হাড় সংখ্যা সমান। সঠিক উত্তর ১ টি।

৩. জিরাফের গলা লম্বা হয় কেন ?
চার্লস ডারউইনের মতে,জিরাফের গলা লম্বা হওয়া বিবর্তন এবং প্রাকৃতিক নির্বাচনের উদাহরণ। জিরাফের গলা লাখ লাখ বছর ধরে বিবর্তিত হয়ে লম্বা হয়েছে, যাতে তারা খাদ্যের উৎস, যেমন উঁচু গাছের ডালপালা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

৪. জিরাফের বৈজ্ঞানিক নাম কি ?
Giraffa

৫. জিরাফের বাচ্চাকে কি বলে ?
জিরাফের বাচ্চাকে calf বলে।

আপনার মতামত জানতে আমরা আগ্রহী তাই একটি মন্তব্য করুন, যাতে আমরা এই বিষয়ে আপনার মতামত জানতে পারি।

এই নিবন্ধটি আপনার বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করুন  তাঁদের এই বিষয়ের জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করার জন্য।

আমাদের fb page এ  follow করুন ও আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন