দীপাবলির সাতকাহন । দীপাবলি 2023 ফ্যাক্ট

দীপাবলি বা দেওয়ালি হিন্দু ধর্মের একটি দুইদিন ব্যাপী ধর্মীয় উৎসব। কিন্তু যদি ধনতেরাস ও ভাইফোঁটা এই দুইদিন যোগ করা হয়, তাহলে দীপাবলি বা দেওয়ালি হবে

দীপাবলি বা দেওয়ালি হিন্দু ধর্মের একটি দুইদিন ব্যাপী ধর্মীয় উৎসব

কিন্তু যদি ধনতেরাস ও ভাইফোঁটা এই দুইদিন যোগ করা হয়, তাহলে দীপাবলি বা দেওয়ালি হবে মোট পাঁচ দিন ব্যাপী।

হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও সব ধর্মালম্বীরাই দেওয়ালিতে এক হয়ে উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন।

আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশীর দিন ধনতেরাস অথবা ধনত্রয়োদশী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দীপাবলি উৎসবের সূচনা হয়।

আর কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়াতে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানে দীপাবলি উৎসব শেষ হয়।

সাধারণত দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার মোটামুটি ১৮ দিন পর দীপাবলি শুরু হয়। 

দীপাবলিতে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, মরিশাস, গায়ানা, ত্রিনিদাদ, টোবাগো, সুরিনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ফিজিতে একটি বা একাধিক সরকারি ছুটি থাকে।

অসতো মা সৎ গময়। 

তমসো মা জ্যোতির্গময়। 

মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়। 

ওঁ শান্তিঃ॥ ওঁ শান্তিঃ॥ ওঁ শান্তিঃ॥

অর্থাৎ অসৎ থেকে সত্যিতে নিয়ে যাও, অন্ধকার থেকে জ্যোতিতে নিয়ে যাও, মৃত্যু থেকে অমরত্বে নিয়ে যাও।  ছড়িয়ে পড়ুক শান্তির বার্তা।


হিন্দুদের কাছে, দীপাবলি একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই দিন সব হিন্দুরা বাড়িতে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। 

বাংলা, আসাম, ওড়িশা ও মিথিলাতে এই দিনটি কালীপূজা হিসেবে উদ্‌যাপন করা হয়। 

দীপাবলির মাধ্যমে উপনিষদের আজ্ঞায় এই কথাটা খুবই সদৃঢ় ভাবে চরিতার্থ হয়ে ওঠে যথা "অসতো মা সৎ গময়। তমসো মা জ্যোতির্গময়। মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়। ওঁ শান্তিঃ॥ ওঁ শান্তিঃ॥ ওঁ শান্তিঃ॥" 


দেখুন দীপাবলির অসাধারন ৫ টি ফ্যাক্ট!


১. দীপাবলি, আলোর উৎসব!

দীপাবলি হল আলোর উত্সব,  আলোর সাথে অন্ধকারের পরাজয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা সবাই দীপাবলির আনন্দে মেতে উঠি।


এই উৎসবটি শ্রীরাম ও সীতার চৌদ্দ বছরের দীর্ঘ বনবাসের পর অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তনের স্মরণ করেও অনেকে পালন করেন। 


এটা বিশ্বাস করা হয় যে শ্রীরাম ও সীতাকে স্বাগত জানাতে, অযোধ্যার বাসিন্দারা হাজার হাজার দিয়া (মাটির প্রদীপ) জ্বালিয়েছিল। সেই চল এখনও রয়ে গেছে। 


দীপাবলি হিন্দু ক্যালেন্ডারের কার্তিক মাসে পড়ে, এবং আলোর এই উত্সবটি উপভোগ করার জন্য, যা একটি অমাবস্যায় (চাঁদবিহীন রাতে) ঘটে , আতশবাজি জ্বালানো হয় এবং বাড়ির দেয়ালে এবং প্রবেশদ্বারে আলোকসজ্জা করা হয়।


২. দীপাবলিতে অনেকে সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর জন্ম উদযাপন করে।

এটা বিশ্বাস করা হয় যে দীপাবলিতে সমুদ্র মন্থনের ফলে  দুধ-সমুদ্রের মহা মন্থন থেকে ধন ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মীর জন্ম হয়েছিল । 


৩. এখন ফসল কাটার মরসুম শেষ

কার্তিক মাস ভারতে ফসল কাটার ঋতুর সমাপ্তি চিহ্নিত করে এবং কৃষকরা তাদের ফসল দেবী লক্ষ্মীর কাছে উৎসর্গ করে তাঁদের সমৃদ্ধির জন্য। 


৪. দীপাবলিতে অন্নকুট উৎসবও অন্তর্ভুক্ত

অন্নকুট দীপাবলির চতুর্থ দিনে উদযাপিত হয় যা হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে নতুন বছরের ১ম দিন। এটি গোবর্ধন পর্বতের আকারে খাবারের ঢিবি দিয়ে কৃষ্ণের কল্যাণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন ।


৫. দীপাবলি মানে প্রচুর আতশবাজি এবং আলো!

আতশবাজি এবং প্রদীপ এবং মোমবাতি দিয়ে সাজানো দীপাবলির একটি অপরিহার্য অংশ। বছরের পর বছর ধরে, হিন্দু সমাজর বৈদ্যুতিক সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন আলোর সজ্জার  সেজে ওঠে প্রত্যেকের মন ঘর বাড়ি। আধুনিক যুগে সজ্জা তৈরির এক উপায় হয়ে উঠেছে বৈদ্যুতিক টুনি ও LED বাতি। 

কেমন লাগলো কমেন্টে জানান, এবং বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
আমাদের facebook page লাইক করে সঙ্গে থাকুন। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন