তাড়াতাড়ি ধনী হওয়ার সবচেয়ে সহজ ১০ টি উপায় | ধনী হওয়ার লক্ষণ

আপনি যদি ধনী হতে চান তাহলে এই লেখার প্রত্যেকটি পয়েন্ট মন দিয়ে পড়ুন । কারণ আমরা আপনাকে সরাসরি ধনী হওয়ার কিছু কার্যকরী উপায় বলবো আজ

 তাড়াতাড়ি ধনী হতে চাইলে যে ১০ টি কাজ আপনাকে বাদ দিতে হবে।


আপনি যদি ধনী হতে চান তাহলে এই লেখার প্রত্যেকটি পয়েন্ট মন দিয়ে পড়ুন । কারণ আমরা আপনাকে সরাসরি ধনী হওয়ার কিছু কার্যকরী উপায় বলবো আজ আপনার জন্য, তাই ধনী হওয়ার যাত্রার শুরু করার জন্য আপনার বিষয়গুলোর উপর নজর দেওয়া বিশেষ ভাবে জরুরি।

ভালো অভ্যাস করার আগে যেমন আগের খারাপ অভ্যাস গুলো বাদ দেওয়া জরুরী, তেমন ধনী হতে চাইলে আগে যেসব জিনিস গুলো আপনাকে ধনী হতে বাধা দেবে সেগুলো বাদ দেওয়া জরুরী।   

আজ আপনাকে যে সব কথাগুলো বলব সেগুলো আসলে ধনী না হওয়ার চিহ্ন। এগুলো প্রায় সব সাধারন মানুষের মাঝে দেখা যায়। সবগুলো না হলেও কিছু না কিছু অভ্যাস সব সাধারণ মানুষের কমন।এবং এর কিছু এতই সাধারণ যে, বলে না দিলে আপনি ভাবতেও পারবেন না যে, এই কারণ গুলোই আপনার ধনী হওয়ার ইচ্ছে কে বাধা দিচ্ছে।

কাজেই, আপনি যদি ধনী হতে চান তাহলে প্রতিটা পয়েন্ট ভালো করে পড়ুন। ও ভাবুন এগুলোর মধ্যে কোন‌ওটাও আপনার মধ্যে আছে কি না।

 যদি থাকে  তাহলে আজ থেকেই সেগুলোকে দূর করার কাজে লেগে পড়ুন।

 আজ থেকেই আপনার জীবন বদলাতে শুরু করতে হবে, আপনি বদলাবেন তবেই তো আপনার জীবন বদলাবে। আপনাকে ধনী করবে।

চলুন তাহলে আর বেশি দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কোন অভ্যাসগুলো আপনাকে ধনী হতে বাধা দিচ্ছে। আপনাকে ধনী হতে চাইলে কি কি অভ্যাস বাদ দিতে হবে।

【১আপনি কি আয়ের চেয়ে খরচ বেশি করেন? অথবা বাজে খরচ করেন?

ইদানিং "লাইফস্টাইল মেইনটেইন" কথাটা খুবই শোনা যাচ্ছে। দামি মোবাইল থাকা, উইকেন্ডে দামি রেস্টুরেন্টে খাওয়া, বিদেশে ট্যুরে যাওয়া এইসব না করলে আজকাল  "প্রেস্টিজ" আর থাকছে না!

বিশেষ করে কর্পোরেট চাকরিজীবীদের মধ্যে এই প্রবণতা মহামারীর আকার ধারণ করেছে।

এইসব আপনি অবশ্যই করতে পারবেন কিন্তু সেটা হবে "এক্সট্রা" টাকা দিয়ে । আপনার যখন টাকা উপচে পড়ছে, তখন আপনি এগুলো করতে পারেন।

কিন্তু শুধুমাত্র প্রেস্টিজের জন্য বা লোক দেখানোর জন্য, আপনার বেতনের টাকা খরচ করে, এমনকি ক্রেডিট কার্ডের ধার করা টাকা দিয়ে এসব করলে, আপনার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। যদি এই অভ্যাস থেকে থাকে আজই পরিবর্তন করুন। নয়ত, জীবনের শেষে আপনি দারুন বিপদে পড়তে যাচ্ছেন।

এতে বড়লোকি দেখাতে গিয়ে সত্যিকারের বড় লোক হওয়ার  পথ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে।

【২ আপনি কি টাকা জমাতে অতিরিক্ত আগ্রহী ?

ধনী হওয়ার জন্য হিসেব করে টাকা খরচ করা ও জমানো খুবই প্রয়োজন। এটা আমি জানি, কিন্তু কিছু মানুষ আছে যারা শুধু টাকা জমিয়েই যায়।

সব বাড়িতেই টাকা যারা জমায় প্রকৃত অর্থে তারা কখনো ধনী হতে পারে না।আপনি হয়তো চাকরি করে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে জমান। এবং আপনার চাকরি জীবনের শেষে হয়তো সেই টাকা ৫০ লাখ ১ কোটিতে গিয়ে ঠেকবে। 

কিন্তু আপনিই বলুন, ২০ - ৩০ বছর ধরে ১ কোটি টাকা জমিয়ে জীবনের শেষে আপনি কি কি করতে পারবেন ? আসলে তেমন কিছুই করতে পারবেন না।

আর একটা কথা বলি, ওটাকে সত্যিকারের ধনী হওয়া বলা যায় না। আসল ফ্যাক্ট হল, আপনি আসলে ধনী হওয়ার চেষ্টা না করে, সারাজীবন গরিব না হ‌ওয়ার চেষ্টা করে গেছেন সারা জীবন। আর তাই আপনি বড়জোর মধ্যবিত্ত হতে পারলেও ধনী হতে পারবেন না।

মূলত ঝুঁকি নিতে ভয় পাওয়ার কারণেই আপনি কখনো ধনী হতে পারবেন না। 

【৩আপনি কি কোনো ব্যাক্তির ব্যাকগ্রাউন্ড না জেনেই সেই ব্যাক্তির  কথা শোনেন?

আমরা অনেক সময় আশেপাশের মানুষের পরামর্শ নিয়ে থাকি। আমাদের সমাজে একটা বিষয়ে প্রচলিত রয়েছে - বয়সে বড় হলেই তার কথা মানতে হবে। আপনি অবশ্যই বড় মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করবেন না। কিন্তু তার মানে এই না যে বয়সে বড় হলেই সেসব বিষয়ে আপনার থেকে  ভালো জানবে। 

উদাহরণ স্বরূপ  ধরুন আপনি অনলাইনে ব্যবসা করতে যাচ্ছেন, এখন এমন একজন মানুষের কথা শুনছেন যিনি জানেনই না যে অনলাইনে বিজনেস কিভাবে হয়? 

আপনার কি মনে হয়,  সে কি আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবে ? 

একজন হতদরিদ্র মানুষের কাছে কোটিপতি হওয়ার উপায় জানতে চাওয়া বোকামি। যে নিজের সমস্যার সমাধান করতে পারে না , সে আপনার সমস্যার সমাধান কি ভাবে করবে ?

তাই  আপনি ধনী হতে চাইলে এমন মানুষের কথা মেনে চলুন যারা নিজেরা ধনী হয়েছেন, অথবা ধনী হওয়ার পথে আছেন। 

পরামর্শ শুধু তাদের কাছ থেকেই নিন যারা সেই বিষয়ে অভিজ্ঞ। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক লোকই আছে যারা জীবনে বড় হওয়ার উপদেশ দেয়, কিন্তু নিজেরা আসলে জীবনে কিছুই করতে পারেননি। তাদের কথা শুনুন, তাদের সম্মান করুন কিন্তু তাদের উপদেশে কাজ করা বন্ধ করুন।

কথাগুলো শুনতে একটু খারাপ লাগছে কিন্তু বাস্তবতা এটাই।

যখন কারো কাছ থেকে কোনো বিষয়ের  উপদেশ নেবেন , তখন অবশ্যই  তার ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা ভাববেন। 

এই লোক এখন যে অবস্থায় আছেন আপনি কি সেই অবস্থায় যেতে চান? ভালো-মন্দ দুটোই হতে পারে।

 তিনি যা অর্জন করছেন আপনিও কি সেই জিনিস  অর্জন করতে চান?

যদি উত্তর না হয়! তাহলে তার উপদেশ সম্ভবত আপনার কোন কাজে আসবে না।

আর যদি হ্যাঁ হয়, এগিয়ে যান তার উপদেশ মতো। আপনি সফল হবেনই। 

【৪আপনি কি সত্যিকারের বিনিয়োগ করেন ?

টাকা জমিয়ে হয়তো আপনি উচ্চমধ্যবিত্ত হতে পারবেন কিন্তু ধনী হতে পারবেন না।

আপনি কি জানেন? 

১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমিয়ে রাখলে বছর শেষে ২৫০০ টাকার মত সুদ পাওয়া যায়।

মানে ২.৫%।

অপরদিকে ভারতের মুদ্রাস্ফীতি ৭%।

ব্যাঙ্কে আপনার টাকার মূল্য এক বছরে কমবে ৪.৫% । সেই ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসেই তা থেকে আসতে পারে হাজার হাজার টাকা।

আপনার হাতে কিছু টাকা জমলে হিসাব করে বের করতে হবে কোন জায়গায় আপনার টাকা বিনিয়োগ করলে এই টাকা থেকে সবচেয়ে বেশি লাভ করা যাবে। 

এবং সেই জায়গাতেই টাকা বিনিয়োগ করতে হবে ‌।

প্রথমে ছোট ছোট বিনিয়োগ করে বিনিয়োগের অভ্যাস করুন। প্রথমেই বড় ঝুঁকি নেওয়ার দরকার নেই।  ছোট ছোট বিনিয়োগ করতে থাকুন । এরপর ধীরে ধীরে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে থাকুন। বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে আপনার ব্যবসায়িক মেধা ও আয়ের পরিমাণও বাড়তে থাকবে।

【৫আপনার কি শৃঙ্খলার অভাব আছে ? এবং আপনি কি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না?

আপনি যদি নিজের চেষ্টায় ধনী হতে চান, তবে আপনাকে কষ্ট করতেই হবে আর সেই সাথে নিজেকে কঠোর শৃংখলার মাঝে আটকে রাখতে হবে। রাতারাতি বড়লোক বা ওভার নাইট সাক্সেস বলতে পৃথিবীতে কিছু নেই।

আপনি কি জানেন ১০% এরও কম লটারী বিজয়ী নিজের টাকা ধরে রাখতে পারেন?

একটা ফ্যাক্ট বলি, হঠাৎ করে সাফল্য আসলেও বেশিরভাগ মানুষ টা ধরে রাখতে পারে না। ও তাদের উন্নতি কোনদিন স্থায়ী হয় না। সত্যিকারের ধনী হতে চাইলে আপনাকে দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এবং এর কোন বিকল্প নেই।

কাজের সময় ঘুমানো, কাজের সময় বিনোদন - এসব ভুলে যেতে হবে।

আপনি যদি ব্যবসা করে ধনী হতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে আপনার পরিশ্রম ও গভীর মনোযোগ আপনার বাবসার উপরেই রাখতে হবে। ভরসা করতে হবে নিজের উপর। তারপর ধীরে ধীরে একটু একটু করে নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে হবে। জ্যাক মা, ইলন মাস্ক, জেফ বোজেস এর মতো ধনী ব্যক্তিরা এই ভাবেই কাজ করেছেন।

শৃঙ্খলা মেনে চলা মানুষ কাজের সময় কাজ করে, ইচ্ছা অনিচ্ছার ধার ধারে না। নিজের মুডকে পাত্তা দেয় না। মুভ নিয়ন্ত্রণ করে কাজ করে যাওয়ার কারণেই তারা সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করতে পারেন, যা একসময় তাদের আর্থিক দিক থেকেও অন্যদের থেকে উপরে নিয়ে যায়।

আপনি যদি নিজেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে নিজের আর্থিক অবস্থা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?

【৬আপনার কি কোন আর্থিক লক্ষ্য নেই ?

এটা খুবই ভয়ঙ্কর একটা বিষয়। বেশিরভাগ সময়ে কোন কিছু অর্জন করতে হলে তার জন্য নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য ঠিক করতে হয়। আপনার যদি টার্গেট না থাকে, তাহলে আপনি পরিকল্পনাও করতে পারবেন না। আর পরিকল্পনা না করলে সফল হওয়াও কঠিন।

ডাক্তার হতে গেলে যেমন সেই লক্ষ্যে পড়াশোনা করতে হয়। বড় খেলোয়াড় হতে গেলে যেমন প্র্যাকটিস করতে হয়, ধনী হতে হলেও আপনাকে বিশেষ কিছু কাজ করতে হবে। 

শুধু "আমি ধনী হব" এই লক্ষ্য থাকলেই হবে না আপনি কত টাকার মালিক হতে চান কবে হতে চান এইসব ঠিক করতে হবে। তাহলে নিজেই আপনি সেই পথে চলতে পারবেন।

যেদিন যত টাকার মালিক হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করবেন। সেই দিন তত টাকা আপনার হবে ব্যাপারটা সেরকম নয়। কিন্তু আপনি যদি লক্ষ্য ঠিক না করেন  তবে কাজ শুরু করাই হবে না। 

লক্ষ্য আসলে গন্তব্য আর পরিকল্পনা হল ম্যাপ। সব প্ল্যান যে কাজ করবে তা নয়। মাঝে মাঝে আপনি ভুল পথেও যেতে পারেন। কিন্তু লক্ষ্য ঠিক রাখলে আবার সঠিক পথ খুঁজে পাবেন।

【৭আপনি কি নিজের দোষ দেখতে পান না ?

আপনার জীবনে খারাপ কিছু ঘটলেই যদি নিজের ভুল কোথায় হয়েছে তা দেখার বদলে অন্যের ওপরে দোষ চাপানোর পথ খোঁজেন, তাহলে নিজের চেষ্টায় ধনী হওয়ার কথা ভুলে যান। 

এই স্বভাব যাদের মাঝে আছে তারা আসলে দায়িত্ব নিতে পারে না। আপনার যদি একটা ব্যবসা থাকে, এবং ব্যবসায় লস হলে যদি আপনি নিজের ভুল খোঁজার বদলে অন্যের দোষ দেখতে থাকেন, তাহলে সেই অবস্থা থেকে জীবনেও বের হতে পারবেন না।

কোন সমস্যার সমাধান যদি খুঁজে না পান তাহলে নিজের দিকে তাকান। হয়তো সমস্যাটা আপনার নিজের। 

মার্কেটে আপনার নতুন সার্ভিস বা পণ্য চালাতে পারছেন না। এটা কখনোই মার্কেটের দোষ নয়। আপনি আপনার পণ্য বা সেবা ঠিকমতো প্রচার করতে পারছেন না। অথবা আপনার প্রোডাক্টে কোনো ক্রুটি আছে।

কাজেই কোন কিছু ঘটলে আগে নিজের দিকে তাকান। আপনার নিজের কোথায় ভুল হয়েছে  তা খুঁজে বের করুন। ও আবার চেষ্টা করুন। তাহলে এক সময় আর ভুল করবেন না।

【৮আপনি মনে করেন পরিশ্রম নয় ভাগ্যই আসল ?

আপনার মাঝে যদি এই মানসিকতা থাকে তাহলে আপনি জীবনে আর যাই হন ধনী হতে পারবেন না। এটা আসলে পরিশ্রম না করার একটা অজুহাত। অনেকে বলে ধনী হতে গেলে ধনী হয়ে জন্মাতে হয়, অথবা কারও সাহায্য পেতে হয়। ঠিকই বলে কিন্তু সত্যি কথা হল, আপনি যতক্ষণ না নিজে কিছু করে দেখাতে পারছেন ততক্ষণ আপনাকে কেউ সাহায্য করবে না। 

কাজেই নিজের চেষ্টায় ধনী হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। এই লেখাটি পড়ছেন , মানে আপনি পৃথিবীর সেই সৌভাগ্যবানদের মধ্যে একজন, যার হাতে ইন্টারনেট ও এমন একটি ডিভাইস আছে যাতে আপনি যেকোন কিছু শিখে নিতে পারবেন। শুধুমাত্র একটি ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই আপনি নিজের ইচ্ছায় অনেক কিছু করতে পারবেন।

【৯আপনি কি নতুন কিছু শিখতে ভয় পান ?

সময়ের সাথে যদি আপনি নিজেকে আপডেট করতে না পারেন তাহলে যেখানে আছেন সারা জীবন সেখানেই থেকে যাবেন।

আপনার জ্ঞান ও দক্ষতা যদি সামনের ৫ বছর একই রকম থাকে, তবে সামনের ৫ বছর ও আপনার আর্থিক অবস্থা একই রকম থেকে যাবে।

বেশিরভাগ মানুষ তাদের প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ হয়ে গেলে ভাবে তাদের সব শেখা শেষ হয়ে গেছে।

কিন্তু তখন থেকেই আসলে সত্যি কারের শেখা শুরু হয়। আপনি যদি মাস্টার্স বা অনার্স শেষ হওয়ার পর পড়াশোনা বন্ধ করে দেন। তাহলে হয়তো একটা ভালো চাকরি বা আয়ের রাস্তা পেয়েই যাবেন। কিন্তু নতুন জ্ঞান আর দক্ষতা অর্জন না করলে আপনার আয়ও একটা পর্যায়ে এসে থেমে যাবে।

মনে রাখবেন, আমরা এখানে নিজের চেষ্টায় ধনী হওয়ার কথা বলছি। বাবা বা ঠাকুরদার টাকা, কিংবা অবৈধ উপায়ে বা ঘুষ  দুর্নীতির মাধ্যমে বড়লোক হওয়ার কথা বলছি না । 

ওই সব পথে ধনী হওয়ার মাঝে কোন মহত্ত্ব নেই। যারা নিজের চেষ্টায় সৎ পথে থেকে ধনী হয়েছেন তারা নিজের চেষ্টায় ও পরিশ্রমে ধনী হয়েছেন। পরিশ্রমের সাথে সাথে তারা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় শিখেছেন।

【১০আপনি নতুন অভ্যাস গড়ে তুলছেন না?

জীবনকে যদি বদলাতে হয় তবে অভ্যাসও বদলাতে হবে। যদি চান ২০২২ থেকে ২০২৩ অন্যরকম হোক। তবে আপনার নিজেকে অন্যরকম হতে হবে।

এবং সেই পরিবর্তনটা হতে হবে ভালো পরিবর্তন। নিজের অভ্যাস না বদলে আর্থিক অবস্থা বদলের আশা করাটা বোকামি। 

গত বছর যদি দিনে ৬ ঘন্টা কাজ করে থাকেন। তবে এই বছর আপনাকে দিনে ১০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে।

যদি বলেন আপনার হাতে সময় নেই তাহলে ভুল করবেন, সব খেলোয়াড়রাই দিনে ২৪ ঘন্টা পায়। কিন্তু সবাই ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো হতে পারে না। 

কারণ সবাই মাঠ ছেড়ে চলে গেলেও রোনাল্ডো একা একা প্র্যাকটিস করেন।আপনি যদি গরিব বা মধ্যবিত্ত অবস্থা থেকে 'বড়লোকের' কাতারে যেতে চান তবে  ৯টা -৫টা মনোভাব মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন।

অফিসের কাজ শেষে ঘরে ফিরে নিজের কাজ করুন। অথবা সকাল ৮ টায় ওঠার বদলে সকাল ৬টায় উঠুন। প্রতিদিন দের  দুই ঘন্টা নিজের স্বপ্নের পিছনে দিন। পড়াশুনা করুন অথবা কাজ করুন, অফিস থেকে ফিরেও এই কাজ করুন। এই দের  দুই ঘন্টা এক্সট্রা সময়  একদিন আপনাকে সাধারণ থেকে অর্ডিনারি বানিয়ে দেবে।

তাই যদি বাজে অভ্যাস থাকে তাহলে সেই অভ্যাসের পরিবর্তন করে ফেলুন। নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করুন। কমফোর্ট জোন থেকে নিজেকে বের করার চেষ্টা করুন। 

আর কেমন লাগলো আমাদের প্রতিবেদন ? কমেন্টে জানান। বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন