2000 সালের পরে যে ৫টি দেশগুলি স্বাধীন হয়েছে।
বিশ্বে স্বাধীন দেশের সংখ্যা ১৯৪ টিরও বেশি। এদের মধ্যে কিছু কিছু দেশ অনেকদিন থেকেই স্বাধীন হয়ে আছে, আবার কিছু দেশ স্বাধীন হয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি।
যদি আমরা ১৯০০ সালের থেকে ধরি, তাহলে ১৯০০ সাল থেকে আজ পর্যন্ত স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশের সংখ্যা ৩৪টি।
তার মধ্যে আমাদের ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানও হয়েছে।
কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে দেশ স্বাধীন হওয়ার সংখ্যা একটু ধীর হয়ে গেছে। আজ আমরা এখানে জানতে চলেছি ২০০০ সালের পর স্বাধীন হওয়া পাঁচটি দেশের নাম একে একে দেখতে থাকুন।
দক্ষিণ সুদান
২০১১ সালের ৯ই জুলাই সুদান থেকে পৃথক হয়ে এই দেশটি তৈরি হয়েছে। এবং নাম হয়েছে দক্ষিণ সুদান।উত্তর পূর্ব আফ্রিকার সবচেয়ে নতুন দেশ সাউথ সুদান ৬০ টির বেশি নৃ-গোষ্ঠী নিয়ে দেশটি আফ্রিকার অন্যতম বৈচিত্র্যময় দেশে পরিণত হয়েছে।
বর্তমান অবস্থা একটু খারাপ হলেও, আশা করা যায় আগামীতে দেশটি ভালো কিছু করবে।
বর্তমানে জাতিগত সহিংসতা এবং বিদ্রোহী তৎপরতা দেশটিকে জর্জরিত করেছে এবং সাধারণ নাগরিকের মধ্যে একটি ছাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
কসোভো
সার্বিয়ার কাছ থেকে ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি স্বাধীনতা লাভ করে কসোভো। প্রায় এক শতাব্দীর আগে থেকেই এই দেশটির সর্বভৌম লড়াই শুরু হয়েছিল, যখন সার্বিয়া অটোমান সাম্রাজ্য থেকে পৃথক হয়।২০০৮ সালে সার্ভিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর সার্বিয়া কসোবো এর স্বাধীনতা ঘোষণাটিকে অবৈধ হিসাবে তুলে ধরে।
তবে আমেরিকা, কানাডা ও ইউরোপে বিভিন্ন শক্তি সহ জাপানের সাহায্যে কসোবো স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত হয়।
এখনো সার্বিয়া কসোবো স্বাধীনতা স্বীকার করে না। তবে আগের তুলনায় দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্কের কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে।
সাবিয়া মন্টেনিগ্রোর এই বিচ্ছেদ হয় ২০০৬ সালের ভিত্তিতে, যেখানে প্রস্তাব পাশের জন্য কমপক্ষে ৫৫% ভোট দরকার ছিলো। আর সার্বিয়া মন্টেনিগ্রো স্বাধীনতা গণভোট প্রস্তাবটি পাশ হয় মাত্র ৫৫.৫% ভোট পেয়ে! ৩১ মে গনভোট কমিটি এর অফিশিয়াল ফলাফল প্রকাশ করে এবং ঘোষণা করে যে সার্বিয়া মন্টেনিগ্রোর ৫৫.৫% স্বাধীনতা চায়। এই বিবৃতির পরে ৬ই জুন সারবিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। আমেরিকা, চীন, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোও গণভোটের ফলাফলকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক মেনে নিয়েছিল।
সার্বিয়া
প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়ার বিভাজন থেকে উঠে আসা সাতটি দেশের মধ্যে একটি হল সার্বিয়া (Serbia)। দমনমূলক যুগোস্লাভ সরকারের অধীনে বহু বছরের লড়াইয়ের পরে ২০০৬ সালের ৫ই জুন সার্বিয়া, মন্টেনিগ্রো থেকে বিচ্ছেদ এবং স্বাধীনতা লাভ করে। বিংশ শতাব্দীর অধিকাংশ নিময়ই দেশটি যুগোস্লাভিয়ার অংশ হিসেবে ছিল (১৯৪৫ - ৫৯৯২)। এরপর দেশটি গণতন্ত্রী যুগোস্লাভ যুক্তরাষ্ট্রের অধীনস্থ একটি প্রজাতন্ত্র (১৯৯২- ২০০৩) হিসেবে এবং সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রোর (২০০৩-২০০৬) অংশ হিসেবে ছিল।সাবিয়া মন্টেনিগ্রোর এই বিচ্ছেদ হয় ২০০৬ সালের ভিত্তিতে, যেখানে প্রস্তাব পাশের জন্য কমপক্ষে ৫৫% ভোট দরকার ছিলো। আর সার্বিয়া মন্টেনিগ্রো স্বাধীনতা গণভোট প্রস্তাবটি পাশ হয় মাত্র ৫৫.৫% ভোট পেয়ে! ৩১ মে গনভোট কমিটি এর অফিশিয়াল ফলাফল প্রকাশ করে এবং ঘোষণা করে যে সার্বিয়া মন্টেনিগ্রোর ৫৫.৫% স্বাধীনতা চায়। এই বিবৃতির পরে ৬ই জুন সারবিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। আমেরিকা, চীন, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোও গণভোটের ফলাফলকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক মেনে নিয়েছিল।
মন্টিনিগ্রো
মন্টিনিগ্রোর (Montenegro) স্বাধীনতা প্রাপ্তির ইতিহাস অনেকটা সার্বিয়ার মতোই। সার্বিয়া মন্টেনিগ্রো ভেঙ্গেই এই দুটি দেশ জন্ম নেয়। তবে মন্টিনিগ্রোই ২০০৯ সালে যুগোস্লাভিয়া থেকে পৃথক হওয়ার জন্য নেতৃত্ব দিয়েছিল।২০০৬ সালে স্বাধীনতার জন্য চুক্তি অনুমোদনের পরে, সার্বিয়া মন্টেনিগ্রো স্বাধীনতার ঐতিহাসিক গণভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং একই বছরের ৩ জুন মন্টিনিগ্রো নিজেকে সারিয়া থেকে পৃথক এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করে। সার্বিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এবং জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের স্থায়ী সদস্যরা সকলেই মন্টেনিগ্রোর স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।