চাষবাস করার ইচ্ছা! কিন্তু নিজের কোন জমি নেই? | চাষের কাজে কি কি জিনিস না হলে চলে না | হাইড্রোপনিক ফার্মিং

চাষবাসে টাকা খাটিয়ে মোটা অংকের টাকা লাভ করা সম্ভব। খাবারের চাহিদা বর্তমানে যা আছে তা কমার কোনই সম্ভাবনা নেই।

চাষবাস করার ইচ্ছা! কিন্তু নিজের কোন জমি নেই? কোন ব্যাপার নয়।

চাষবাসে টাকা খাটিয়ে মোটা অংকের টাকা লাভ করা সম্ভব। খাবারের চাহিদা বর্তমানে যা আছে তা কমার কোনই সম্ভাবনা নেই। 

জনসংখ্যা যত বাড়বে খাবারের প্রয়োজনও তত হবে। 

তবে যদি চাষবাস আপনার নেশা হয়ে থাকে তাহলে তো আপনার হাতে কলমে চাষ করতে হয়, কিন্তু যদি চাষ আপনি লাভের কারণে করতে চান অর্থাৎ বাড়তি আয় করতে চান তাহলে জমি ছাড়াও আপনি চাষবাসের ওপর টাকা খাটিয়ে অনেক টাকা লাভ করতে পারবেন।


আজ আমরা এমন কিছু বিকল্প চাষবাসের কথা বলবো যেখানে আপনি শুধুমাত্র আপনার টাকা খাটিয়ে মোটা অংক লাভ করতে পারবেন।

 তাই আর্টিকেলটি পুরোপুরুন এবং মন দিয়ে পড়ুন শুরু করছি!

রিয়েল এস্টেট এ বিনিয়োগ

রিয়েল এস্টেট ইনভেসমেন্ট ট্রাস্ট বা রেট চাষবাসের উপর বিনিয়োগ করার একটি আদর্শ উপায়।

এক বিন্দুও জমি না কিনে আপনি চাষবাসের সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারবেন, কিন্তু সরাসরি আপনি জমি কিনবেন না।

 সাধারণত রেট গুলি বিভিন্ন ফসলি জমির মালিক চাষবাসটাও কিছু ক্ষেত্রে তারাই দেখে ফলে সরাসরি জমি না কিনে, আপনি কোন না কোন ফার্মের শেয়ার কিনলেন।

 হয়তো সেই ফার্ম কয়েকটি চাষীকে লিজে দেয়া হয়েছে, চাষবাসের বিভিন্ন শেয়ার থাকে।

 রেটে বিনিয়োগের সুবিধা হল আপনাকে কোন সমস্যায় পোড়াতে হবে না। 

কোন টেনশন ছাড়াই আপনি কৃষি জমির বিভিন্ন জায়গায় নিজের মর্জি মতো বিনিয়োগ করতে পারবেন। 

এবং যখনই আপনি জমিতে বিনিয়োগ করছেন, তার মানে আপনি সরাসরি কৃষি কাজে অংশ নিচ্ছেন।

কৃষি যন্ত্রপাতি এবং সামগ্রীতে বিনিয়োগ

জমি না কিনে ও চাষবাসে অংশ নেওয়ার আরেকটি উপায় হল কৃষি সামগ্রী এবং যন্ত্রপাতিতে বিনিয়োগ করা।

 কৃষি সামগ্রী বলতে চাষবাসের ফলে যে কাঁচামাল তৈরি হয় সেগুলি যেমন ভুট্টা গম সয়াবিন চাল ইত্যাদি ফসলকেই কৃষি সামগ্রী বলা হয়ে থাকে।

 এসবগুলি আপনি কিনে স্টক করে আবার বিক্রি করতে পারেন। এছাড়া ETF বা এক্সচেঞ্জ ট্রেড ফান্ডের মাধ্যমে আপনি এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে পারেন।

 আর যন্ত্রপাতিরও এরকমই কিছু কোম্পানি আছে, যাদের শেয়ারে আপনি বিনিয়োগ করে সরাসরি চাষবাসের অংশগ্রহণ করতে পারেন।

ক্লাউড ফান্ডিং

বড় টাকা যোগাড় করার সময় সাধারণ কৃষকরা বরাবরই চাষের পুঁজি জোগাড় করতে হিমশিম খান।

 আধুনিক প্রযুক্তিই হোক বা দামি জিনিসপত্র ছোটখাটো চাষীদের ক্ষেত্রে এসব জিনিস কিনে চাষবাস শুরু করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে।

 এ কারণে তারা বিভিন্ন ক্লাউড ফাইন্ডিং এর মাধ্যমে নিজেদের পুঁজি তোলে এবং চাষবাসের পরে সেই টাকা লাভ সমেত ফেরত দিয়ে দেয়।

 আপনিও সেই ক্লাউড ফান্ডিং এ অংশগ্রহণ করতে পারেন। 

এক কথায় পুরনো দিনের সেই জমিদারি টাইপের কিছু। তবে সঠিক সুদের হার আপনার গ্রহন যোগ্যতা আরও বারিয়ে দেবে।

হাইড্রোপনিক ফার্মিং

উপরের কোনটাই যদি আপনার পছন্দ না হয়ে থাকে, তাহলে এবার যেটি বলতে চলেছি এটি আপনাদের একেবারেই মন পছন্দ হবে বলে আশা করছি।

 হাইড্রোপনিক চাষবাস একটি বিশেষ পদ্ধতি এর দ্বারা শুধুমাত্র জল ও বীজ এর সাহায্যে চাষবাস করা যায়।

 মাটির কোন প্রয়োজনই হয় না এখানে, এবং এতে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। 

যেমন 

১. এতে অঙ্কুরোদগমের হার অনেক বেশি হয়, 

২.জলও অত্যন্ত কম লাগে, 

৩.অল্প পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করলেই চলে ।

বিশেষত, মেট্রোপলিটন শহরে যেখানে জায়গা জমির দাম প্রচুর সেই  এলাকাতে হাইড্রোপনিক চাষবাস খুবই উপযোগী।

 আপনার যদি চাষবাসে শখ থাকে তাহলে এই পদ্ধতি আপনি ব্যবহার করে দেখতেই পারেন।

 বাণিজ্যিকভাবেও হাইড্রোপনিক ব্যবস্থা খুবই উপযোগী হতে পারে। আপনাকে শুধু একটা জিনিস করতে হবে, এমন একটি ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা যিনি হাইড্রোপনিক চাষ সম্পর্কে আগেও জানেন এবং তার কাছ থেকে কিছু পরামর্শ নেওয়া।

কেমন লাগলো কমেন্টে জানান, এবং বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

আমাদের facebook page লাইক করে সঙ্গে থাকুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন