এবার পুজোয় কম খরচে ঘুরে আসুন এই জায়াগাগুলিতে! । Most Beautiful Places In The World

পাহাড়ের কোলে ট্রেন যাত্রা ! মনেই হবে না দেশেই আছেন। পুজোয় যেতে হলে প্রস্তুতি দিন এখনই।


পাহাড়ের কোলে ট্রেন যাত্রা !  মনেই হবে না দেশেই আছেন। পুজোয় যেতে হলে প্রস্তুতি দিন এখনই।

পুজোয় বেড়ানোর বেশকিছু পাহাড়ি এলাকা, যেখানে ট্রেনে করে যেতে পারবেন আপনি। দেখে নিন এই আর্টিকেলে।

পুজোতে মনটা খালি ঘুরি ঘুরি করে, আর ঘোরাটা যদি ট্রেনের মাধ্যমে হয় তাহলে তো কোনো ব্যাপারই নয়।

বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ থাকে, এদিকে দশমীর পর অনেকটা সময়ও হাতে থাকে, তাই প্রত্যেক বাঙালি পুজোর পর একটু বেরোনোর কথা মনে করেন। সঙ্গে হালকা শীতের আমেজ তো থাকবেই। 

কিন্তু বেরোবেন তো ঠিকই। কোথায় বেরোবেন তার কি কোন পরিকল্পনা আছে আপনার ?  তাই আজ আপনারা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি পুজোয় ভ্রমণের উপযুক্ত বেশ কিছু জায়গার তালিকা। নাম দেখে নিন চটপট।

ইন্দোরের পাতাল পানি মধ্যপ্রদেশ

অন্য বাকি পর্যটকদের সাথে যারা ছুটিতে একটু মজা করতে চান, যারা নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় করতে চান, এই পর্যটন কেন্দ্রটি তাদের জন্য একেবারে আদর্শ।

 চারিদিকে আছে ঘন জঙ্গল, পাথরের জমি, তারি মাঝে আছে প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু একটি ওয়াটার ফলস। 

অনেকে মনে করেন এই জলাশয় টি অসীম। একেবারে পাতালে গিয়ে মিশেছে। আর তাই এই জায়গাটার নাম পাতাল পানি।

সারাদিন আপনি এখানে পাবেন প্রকৃতির কোলে আরাম করে কাটানোর অনেক উপায়। জলাশয়ে রয়েছে বোটিং এর ব্যবস্থা, সবুজ প্রকৃতির মাঝখানে পিকনিক করার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে।

তাছাড়া রয়েছে ফলসের চারপাশে নানা ধরনের ওয়াটার স্পোটিং এর সুযোগ। 

পাতাল পানি যাওয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থাও অত্যন্ত ভালো, ট্রেন বা ফ্লাইটে সোজা আপনাকে ইন্দরের মাহোতে চলে যেতে হবে। মাহোতে আপনি পাতাল পানি রুটের হেরিটেজ ট্রেনে উঠে পড়বেন।

সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস অর্থাৎ বর্ষাকাল নাগাদ পাতার পানি ভ্রমণের একেবারে আদর্শ সময়। কারণ জলাশয় গুলি সেই সময়ই থাকে একেবারে টইটম্বুর। 

তারপর আর কি ঝরনার সামনে একটা পিকনিক বাস্কেট নিয়ে বসে পড়ুন, গল্প করুন, হালকা কিছু খান আর ছুটি উপভোগ করুন ।

যদি এডভেঞ্চার চান তাহলে রিভার রেফটিং করার সুযোগ রয়েছে এখানে। ঝরনার কাছেই রয়েছে একটি ক্যাম্পিং ট্রিপ আপনি সেখানেও যেতে পারেন ।তাছাড়া পাশেই রয়েছে রালা মন্ডল বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্র সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন আপনি।

অরুণাচল প্রদেশের জিরো ভ্যালি

যদি আপনি হইহুল্লোড় পছন্দ করেন তাহলে জিরো ভ্যালী আপনার জন্য নয়। কারণ এই জায়গাটা একটু নিরিবিলি শান্ত ধরনের।

সংগীত উৎসব খুব বিখ্যাত। বেশিরভাগ পর্যটক এখানকার স্থির শান্ত জীবনের স্বাদ নিতেই বহু দূর থেকে এখানে আসেন। 

আসার পথে নানা ধরনের গ্রাম ও গ্রাম্য পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনার চোখ জুড়িয়ে দেবে। এখানে আপাতনি জাতির বাস এই জাতিকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। এদের বাঁশের খেলা বহু পর্যটকের মন মুগ্ধ করেছে।

তিনসুকিয়া নাহার লাগু এক্সপ্রেস ধরে আপনাকে আসতে হবে।  চার ঘন্টা ড্রাইভিং অথবা আপনি ট্যাক্সিও পেয়ে যাবেন। আর পৌঁছে যাবেন আপনি জিরো ভ্যালিতে।

মেয়ে থেকে অক্টোবর নভেম্বর হল মোক্ষম সময় এই অঞ্চলে ভ্রমণ করার জন্য। কারণ ঠান্ডাটা তখন একেবারে আরামদায়ক অবস্থায় থাকে। তারপর আপনি আপাতনি জনগোষ্ঠীর প্রধানের সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানান, যদি প্রধান দেখা করেন তাহলে তার সঙ্গে বাড়িতে বসে গল্প করুন, একটা সাইকেল ভাড়া করুন আশেপাশের গ্রামগুলি ঘুরে দেখার জন্য। পাঙ্গে উপত্যকার কাছে যদি মন করে ক্যাম করেও থাকতে পারেন।

আকাশ ভরা তারা নিচে কেটে যাবে অপূর্ব রাত! আর এরকম সময় আপনি কোথায় পাবেন বলুন তো ?

ম্যাঙ্গালোর কর্ণাটক

আপনি হয়তো মনে মনে ভাবছেন ম্যাঙ্গালোর তো শহর! এখানে আবার কি করব?

সে তো আমরা কলকাতাতেও থাকি।

শহর কিন্তু ঘোরার জায়গা কম নেই ম্যাঙ্গালোরে।

চলে আসুন রেলপথে।

পশ্চিমঘাট পর্বতের গা ঘের সে অপূর্ব ট্রেন জার্নির। তারপর আপনি পৌঁছে যান ম্যাঙ্গালোরে।

শহরে পৌঁছানোর পর একটু বিশ্রাম নিন এবং বেরুন সমুদ্র তট, সুন্দর সুন্দর বাগান, মন্দির, চার্চ দেখার আছে অনেক কিছুই।

তারপর যশবন্তপুর ম্যাঙ্গালোর এক্সপ্রেস ধরে সোজা ম্যাঙ্গালোর অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শীতকাল এ অঞ্চলে ভ্রমণের জন্য একেবারে পারফেক্ট সে সময় তাপমাত্রা বেশি ওঠে না এখানে। দেখতে পাবেন মন্দির আপনি দিতে পারেন পুজো।

দার্জিলিংয়ের ঘুম

ঘুরেফিরে সেই দার্জিলিংয়ে বাঙালির মন আটকায়!

দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে এটি সবচেয়ে উঁচু পয়েন্ট।

ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করেছে ঘুম স্টেশন  কে।নিউ জলপাইগুড়ি থেকে টয় ট্রেনে করে আসবেন এখানে।

স্টিম ইঞ্জিনের টানা এই টয় ট্রেন, আর এই টয় ট্রেনের কোচ গুলোর বিরাট বিরাট জানালা দিয়ে দুদিকে সবুজ পাহাড়, আর অপূর্ব প্রকৃতি দেখতে আপনি অন্য এক দুনিয়ায় চলে যাবেন। 

অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর অবধি আসার জন্য একদম সঠিক সময়। তাপমাত্রা থাকে ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রী। এসে থাকুন ঘুরে ফিরে দেখুন ঘুম এবং ইয়াগা চলিং। এর মানে টয় ট্রেনের যাত্রা আর প্রকৃতি তো আপনি দেখছেনই, সঙ্গে ভাগ্য সহায় থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘাও দেখতে পারেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন