আপনি কি কানাডার সম্পর্কে কিছু মজাদার ফ্যাক্ট জানতে চান ? তাহলে আপনি একদম সঠিক জায়গায় আছেন। এখানে আমরা আপনার জন্য উপস্থাপন করি মজাদার আকর্ষণীয় ও অবাক করা সব দুর্দান্ত ফ্যাক্ট যা আপনি আগে হয়তো কখনো শোনেন নি।
আজ আমরা জানাবো বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দেশ কানাডা সম্পর্কে 11টি আকর্ষণীয় বাংলা ফ্যাক্ট যা আপনার মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে।
চলুন তবে ভূমিকা ছেড়ে চটপট জেনে ফেলি কানাডার 11টি আকর্ষণীয় ও মজাদার বাংলা ফ্যাক্ট।
কানাডার 11টি Fun Facts
1.) কানাডা একটি রাজতন্ত্র।
হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন ( পড়েছেন )। কানাডার একজন রাণী আছে। এটি অনেকটা যুক্তরাজ্যের রানী এলিজাবেথের মতোই। কারণ কানাডা ব্রিটিশ কমনওয়েলথের সদস্য ও পূর্বে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উপনিবেশও ছিল।
যদিও কানাডা 1867 সালে স্ব-শাসিত হয়ে যায়। কিন্তু পুরোনো নিয়ম আর পাল্টানো হয়নি।
2.) কানাডায় দুটি সরকারী ভাষা রয়েছে।
3.) কানাডা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ।
আপনি এইবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট জানতে চলেছেন। যা আমাদের এই 25টি ফ্যাক্ট এর মধ্যে অন্যতম। আপনি কি জানেন কানাডা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। হ্যাঁ আপনার চীন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা মনে হতে পারে, তবে এটা ঠিক নয়।
রাশিয়া পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ।
আর কানাডা দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় দেশ। যা 9.98 মিলিয়ন বর্গ মাইল বিস্তৃত।
4.) কানাডার কাছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রতট উপকূল রয়েছে।
কানাডা ঘুরতে চান ? খুব ভালো কথা। কানাডা ভ্রমণের আপনার অনেক কারনের মধ্যে একটি হলো কানাডায় রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম উপকূলবর্তী এলাকা বা সি বিচ। যা প্রায় 125,500 মাইলের বেশি বিস্তৃত।
কেমন লাগছে আপনার আমাদের উপস্থাপন ? কমেন্টস এর মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।
5.) কানাডার দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্তও রয়েছে।
কানাডার মতো এতো বিশাল দেশের একমাত্র প্রতিবেশী হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবং যেহেতু দুটি দেশেই বেশ বড়, আপনি তাদের সীমানাটিও যে বড় হবে, তা তো আশা করতেই পারেন। তাই কানাডার রয়েছে দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্ত।
অতি দীর্ঘ 5,525 মাইল বিস্তৃত আন্তর্জাতিক সীমান্ত, কিন্তু প্রতিবেশি মাত্র একজন, আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র।
6.) কানাডা শব্দটি একটি আদিবাসী শব্দ থেকে এসেছে।
7.) একজন ইতালীয় কানাডা দাবি করেন, যিনি ইংরেজদের জন্য কাজ করতেন।
ইংল্যান্ডের রাজা সপ্তম হেনরি দ্বারা পরিচালিত, ভেনিসিয়ান অভিযাত্রী জন ক্যাবট (জিওভানি ক্যাবোটো বা জুয়ান চ্যাবোটো) 1497 সালে কানাডার আটলান্টিক উপকূল কিছু অন্বেষণ অভিযন চালান। এবং তিনি এটি ইংল্যান্ডের বলে দাবি করেছিলেন।
তার ছেলে সেবাস্তিয়ান উত্তর আমেরিকার অন্বেষণ অভিযান অব্যাহত রেখেছিলেন কিন্তু শুধুমাত্র একজন নতুন রাজা - মানে অষ্টম হেনরি খুঁজে পেতে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। এবং তিনি মোটেও অনুসন্ধানে আগ্রহী ছিলেন না।
8.) কানাডার জাতীয় প্রাণী আসলে একটি বীভার
বিভার কানাডার ইতিহাসে একটি চমৎকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এই অঞ্চলের পশুদের রাজা কে হবে, তা নিয়ে অনেক মতো বিরোধের পর 1975 সালে কানাডার জাতীয় পশু হিসেবে বিভার কে নির্বাচন করা হয়েছিল।
কিন্তু দিন দিন বিভিন্ন চোরা কারবারিদের কারনে বিভারের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। ও বিলুপ্তির পথে!
তাছাড়া, বিভার কানাডার 5 সেন্টের কয়েলেও মুদ্রিত আছে। যাকে চলিত ভাষায় nickel বলে।
9.) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক বিখ্যাত কানাডিয়ান বসবাস করছেন।
সেথ রোগান, মাইক মায়ার্স, জাস্টিন বিবার, মাইকেল বুবল, অ্যালানিস মরিসেট, কিয়ানু রিভস, জিম কেরি, সেলিন ডিওন, নিল ইয়াং, ড্রেক...
কত বলবো ? এরা সবাই কানাডিয়ান ও বর্তমানে আমেরিকায় বসবাস করছেন।
কানাডার প্রচুর লোক পুরো পৃথিবীতে নিজেদের ছাপ ফেলেছে, ও নিজেদের সেলিব্রিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে।