মানুষের শরীরের ভিতরে যে কত রকমের চমক রয়েছে তা ভাবলেই আমাদের অবাক হতে হয়। আমাদের শরীরের বাইরে হাত-পা, নাক-মুখ চোখ যেমন আছে সেরকমই শরীরের ভিতরে রয়েছে হাড়, শিরা, ধমণী, যকৃৎ, কিডনি সহ নানান গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ । তবে এগুলি মোটামুটি আমাদের সকলেরই কম বেশি জানা।
কিন্তু আমাদের শরীরের ভিতরে এমন অনেক কিছুই রয়েছে যা অনেকেই হয়তো জানেন না। আজ আমরা সেই অজানা মজাদার ফ্যাক্ট নিয়েই আলোচনা করব। তাহলে চলুন সময় নষ্ট না করে তারাতারি দেখে নেওয়া যাক।
মজাদার ফ্যাক্ট 1
আপনি অনেক সময় হাতের বা পায়ের আঙুল ফোটালে আওয়াজ আসে। আমরাই ইচ্ছাকরে হাড় মটকে আওয়াজ বের করি।আমার মতো আপনাদেরও নিশ্চয়ই দারুণ মজা লাগে আঙুল ফোটাতে আর আমরা তেমন কোনো গুরুত্ব দেইনা। তবে ওই আওয়াজ আসলে কিন্তু হাড়ের সংযোগস্থলের তরলপদার্থের মধ্যেকার জমে থাকা গ্যাসের আওয়াজ । দৈনন্দিন এই হাড় মটকানোর অভ্যাস আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত। দীর্ঘকালীন সময়ে এই অভ্যাস শরীরের হাড় ও ধমণীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।মজাদার ফ্যাক্ট 2
গরমে আপনার শরীরের ঘামের গন্ধ হচ্ছে ? কিন্তু বাস্তবে তো আমাদের শরীর থেকে যে ঘাম নির্গত হয় তাতে কোনও গন্ধ থাকেই না। তাহলে দুর্গন্ধ কোথা থেকে এলো ? আসলে ঘামে দুর্গন্ধ তখনই হয় যখন ব্যাকটেরিয়ারা ঘামাক্ত এলাকায় বসবাস করতে শুরু করে।
মজাদার ফ্যাক্ট 3
আপনি কি জানেন, মানুষের এক ফোঁটা রক্তের মধ্যে থাকে 10 হাজার শ্বেত কণিকা এবং 2.5 লক্ষ প্লেটলেট থাকে। তাহলে একবার ভেবে দেখুন যে আপনার শরীরে যত রক্ত রয়েছে তাতে কত পরিমাণ শ্বেত কণিকা ও প্লেটলেট আছে?মজাদার ফ্যাক্ট 4
আমাদের মস্তিষ্ক মানে ব্রেন কুঁচকানো। কিন্তু মস্তিষ্ক যদি টান টান হতো তাহলে তার আকার একটা বড় মাথার বালিশের মতো হতো।এই বিষয়ে আর একটা মজাদার ফ্যাক্ট বলে রাখি ৬ বছর বয়সের এক শিশুর মস্তিষ্ক পূর্ণবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্কের ৯০% হয়।
মজাদার ফ্যাক্ট 5
লিভার বা যকৃৎতের একটা বিশেষ ক্ষমতা আছে বেড়ে নিজের স্বাভাবিক আকার নেওয়ার । অর্থাৎ কোনও অস্ত্রপোচার বা অন্য যে কোনও কারণে যদি যকৃতের কোনও অংশ বাদ দিতে হয় তাহলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের স্বাভাবিক আকার ও আয়তনে চলে আসতে পারে যকৃৎ।মজাদার ফ্যাক্ট 6
আমাদের মুখের লালা গ্রন্থি থেকে প্রতিদিন ৬ কাপ লালা নির্গত হয়। অন্যভাবে বলা যেতে পারে গড়ে প্রতিদিন আমাদের মুখ থেকে ১.৫ লিটার লালা নির্গত হয়।
মজাদার ফ্যাক্ট 7
মানুষের শরীরের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার মাত্র ৪ মিনিটের পর থেকেই মানুষের শরীরে পচন ধরতে শুরু করে।আর এই কাজে শরীরের এনজাইম এবং ব্যাকটেরিয়াই সাহায্য করে।