ডায়াবেটিস বা মধুমেয় রোগ নিয়ন্ত্রণ করার উপায়

আপনি কি ডাইবেটিস এ ভুগছেন? জানুন মুক্তির উপায়।

 আপনি কি ডায়াবেটিস এ ভুগছেন ? 

আপনি কি ডায়াবেটিস এ ভুগছেন জানুন নিয়ন্ত্রণের উপায় ?

Image generated by AI dall-e

তাহলে আপনার  দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন আনা অবশ্যই দরকার। যাতে আপনার ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক থাকে এবং আপনি নিজেকে সুস্থ রাখতে পারেন।

ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের মধ্যে মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস হৃদরোগ, কিডনি রোগ, অন্ধত্ব এবং স্নায়বিক জটিলতা সহ অনেক গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে। টাইপ 2 ডায়াবেটিস ব্যক্তিদের বেশিরভাগেরই শরীর একটু  স্থূল প্রকৃতির হয়  এবং তার কারন হলো অপুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়ামের অভাব, অত্যধিক ধূমপান, এবং অ্যালকোহল  ইত্যাদি, প্রতিদিনের এই খারাপ অভ্যাসগুলি বাদ দেওয়ার সময় এসে গেছে।

আমরা চাই আপনি সুস্থ ভাবে দীর্ঘায়ুর অধিকারী হন এবং তার জন্য আপনার জীবনে তো কিছু পরিবর্তন আনতেই হবে তাই না। আর আপনি যদি আমাদের এই  নিয়ম গুলো  মেনে চলেন আপনার ডায়াবেটিস অবশ্যই কন্ট্রোলে চলে আসবে। 

তাহলে তারাতারি দেখে নিন :

1. সকালের খাবার কখনোই বাদ দেবেন না।

অনেক সময়ই বিভিন্ন কাজের চাপে কিংবা সময়ের অভাবে আপনি যদি সকালের খাবার মাঝে মাঝেই মিস করেন তবে আপনার উঠিত আজ থেকেই এই অভ্যাস পরিবর্তন করা। কারন সকালের ব্রেকফাস্ট না করলে আপনার শরীরের এনসুলিন এবং শর্করা এই দুটিই মাত্রা  অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। 

2. মিষ্টি জাতীয় খাবার যত সম্ভব বাদ দিন। 

মিষ্টি বাংলার শিরায় শিরায়।  কিন্তু আপনাকে এইবার বাঁধ সাদতে হবে। আর তার সঙ্গে সফ্ট ড্রিঙ্কস যেমন কোকাকোলা , পেপসি , লেমোনেট ইত্যাদি খাওয়াও বাদ দিতে হবে।

এইসব জিনিসে প্রচুর চিনি ও কার্বোহাইড্রেড থাকে, তাই আজই মিষ্টি  ও মিষ্টি জাতীয় খাবার বন্ধ করুন।

3. লো-ফাইবার খাবার মেনু থেকে সরান

লো ফাইবার খাবার যেমন ময়দা, পাউরুটি, পাস্তা, নুডলস বা চাউমিন ইত্যাদি আপনার শরীরের জন্য ভালো নয়। হ্যাঁ আপনি হয়তো আমাদের কথায় মানতে পারছেন না,  তবে বিশ্বাস করুন আপনি যদি পাউরুটি,  পাস্তা,  নুডলস কে আটা, পপকর্ন,  ছোলার ছাতু কিংবা আপেল বা ব্রকলি দিয়ে আপনার ডায়েট প্লান পরিবর্তন করে নেন আপনার ফাইবারের আর কোনো ঘাটতি থাবে না।

4. প্যাকেটজাত ও পাস্তরাইজ খাবার খাওয়া একদমই উচিত নয়। 

আচ্ছা মাঝে মাঝে খাবেন, কিন্তু আমরা আপনার জন্যই বলছি যে প্যাকেটজাত সকল প্রকার খাবার যেমন আলুর চিপ্স,  বা ওই ধরনের স্নাক্স । কেক , ক্রিম এই গুলোও আপনাকে বন্ধ করতে হবে যদি আপনি সুস্থ ভাবে জীবনযাপন করতে চান। তার বদলে তাজা ফলের রস কিংবা নিদেন পক্ষে মুড়িও যথেষ্ট ভালো । 

5. সকাল সকাল ঘুমাতে যান এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠুন।

আজকাল কাজের চাপে সকাল সকাল ঘুমাতে যাওয়া একটু অসম্ভব মনে হলেও আপনি চাইলেই আমরা জানি আপনি অনন্ত রাত দশটায় তো ঘুমাতে পারবেনই, আর সেই মতো আট ঘন্টার পর্যাপ্ত ঘুমানোর পড়ে সকাল ছয়টায় উঠে যান। শরীর মন দুইই ভালো হয়ে যাবে। এবং কখনোই ছয় ঘন্টার কম ঘুমাবেন না। ছয় ঘন্টার কম ঘুমালে সুগার লেবেল বেড়ে যায়,  মস্তিষ্কে চাপ পড়ে,  এবং হরমোনাল কিছু পরিবর্তন হয় যা আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। 

6. যদি ধুমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকে আজই ছাড়ুন।

নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না,  তবুও আমরা আবার বলছি আজই ছাড়ুন।  যদি আপনি একজন সাধারণ হতেন তবে বছরে এক আধ বার একটু পার্টি বা সেলিব্রেশনের সময় ঠিক আছে, কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি কিন্তু একজন অসুস্থ ব্যাক্তি। আর অসুস্থ অবস্থায় এই সব করা আপনার শরীরে সহ্য হবে না। আপনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়বেন।

7. শেষকথা বিন্দাস ও হাসিখুসি থাকুন।

দেখুন, সব সময়ই যদি আপনি দুরাশাগ্রস্থ , মন মরা থাকেন এবং সবসময়ই বিভিন্ন বিষয়ে দুশ্চিন্তা করেন এতে আপনার শরীরের কোনো উপকার তো হবেই না বরঞ্চ আরো শরীর খারাপ হবে। তাই বেশি চাপ নেবেন না । মন খুলে বাচুন প্রান ভরে বাচুন। কি হবে এতো চিন্তা করে ছোট্ট জীবনে হাসিখুশি জীবনযাপন করুন। আপনার আয়ু অন্তত দশ বছর বেরে যাবে। বিন্দাস থাকুন। 

আপনার মতামত জানতে আমরা আগ্রহী তাই একটি মন্তব্য করুন, যাতে আমরা এই বিষয়ে আপনার মতামত জানতে পারি। এই নিবন্ধটি আপনার বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করুন  তাঁদের এই বিষয়ের জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করার জন্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন