যে কারনে আপনার প্রতিদিন মুরগীর মাংস খাওয়া একদমই উচিত নয়।
অনেকেই আছেন যারা চিকেন বা মুরগীর মাংস খেতে খুবই ভালবাসেন । মুরগীর মাংসের নিজস্ব কিছু উপকারিতাও আছে কিন্তু বেশিরভাগ লোকই জানেন না বেশি পরিমাণে মুরগীর মাংস খাওয়া একদমই উচিত নয় এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
হোটেল রেস্তরাঁ বা অনুষ্ঠান বাড়ি সব জায়গায় চিকেনের খুবই প্রচলন। কেন হবে না? এতো কম দামে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাদ্য দ্রব্যের উদাহরণ আমাদের কাছে হাতে গোনা, কিন্তু বেশি পরিমাণে চিকেন খেলে কি কি সমস্যা হতে পারে সেগুলিও তো আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন ।
চলুন তবে জেনে নিই প্রতিদিন চিকেন বা মুরগীর মাংস খাওয়া একদমই উচিত নয় কেন ?
1. অনেক বেশি প্রোটিন।
সাধারণত , আপনার প্রতিদিনের ক্যালোরির 10 থেকে 35 শতাংশের মধ্যে প্রোটিন থাকতে হবে এটাই হিসাব । অত্যধিক প্রোটিন খাওয়ার ফলে আপনার শরীর এই প্রোটিনকেই মেদ হিসাবে সঞ্চয় করে। এর অর্থ আপনার ওজন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং রক্তের লিপিডের পরিমান ও বাড়তে থাকে । প্রতিদিন একটি বড় চিকেনের পিস বা মুরগির টুকরোও আপনার প্রতিদিনের প্রোটিনের একটা বিরাট অংশকে অনেকখানি বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই নিবিড় নজর রাখতে ভুলবেন না।
2. হৃদরোগের বড় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে ।
বেশি পরিমাণে মুরগির মাংস খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে । কথাটি অবাক করার মতো হলেও এটি একটি প্রমাণত সত্য।হাই কোলেস্টেরল কার্ডিওভাসকুলার( heart disease)রোগের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। তাই, চিকেন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ অন্যান্য খাবারগুলি যাদের হৃদরোগ বা heart disease আছে তাদের শারীরিক সমস্যাও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং যাদের এইসব হৃদরোগ সংক্রান্ত কোনো কিছু সমস্যা নেই , বেশি পরিমাণে চিকেন খেলে তাদের ও কোলেস্টেরল এবং হৃদরোগ নতুন করে তৈরি হতে পারে।
3. ওজন ঠিক রাখতে সমস্যা হতে পারে।
মুরগির মতো অনেক বেশি প্রাণী-ভিত্তিক প্রোটিন গ্রহণ স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা শক্ত করে তোলে। The Huffington Post এর মতে,সাধারণত প্রতিদিনের মাংস খাওয়া লোকদের তুলনায়
যে সব লোকেরা মাংস ছাড়াই জীবনযাপন করতে পারেন যেমন ভেজিটেরিয়ান বা নিরামিষাসি তাদের BMI( Body mass index) কম
থাকে।
কাঁচা মাংস হ্যান্ডেল করা সর্বদাই ঝামেলার হয়ে থাকে। আপনি যদি পুরো মুরগীর মাংস রান্না না করেন বা আপনার শাকসব্জি যদি কাঁচা মুরগির সংস্পর্শে আসে তবে আপনার খাবারটিতে সালমোনেলা বা ক্যাম্পিলোব্যাক্টার এর মতো ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে । এই ব্যাকটেরিয়াগুলি মানুষের শরীরে তাদের বাজে প্রভাব যেমন পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ, ডায়রিয়া, বমি বমিভাব, জ্বর এবং পেটে বাধার
জন্য কুখ্যাত। প্রবীণ, শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের মতো দুর্বল মানুষের যেকোনো মূল্যে এই ধরণের ফুড পয়জনিং এড়ানো বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ।
মুরগির ফার্মে চাষীরা মুরগিকে তারাতারি বড় করে বাজারজাত করার জন্য বেশিরভাগ সময়ই তাদের ফসল মানে আপনার পছন্দের চিকেনে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করেন। এবং দিনে দিনে এটা একটা সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে । মাত্র 35-40দিনের মধ্যেই ফার্মে একটা মুরগীর বাচ্চা থেকে 2kg থেকে 2.5kg ওজনের মুরগী তৈরী করা হয়। কিন্তু এই মুরগি খেয়ে মানুষ তখন এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলির প্রতিরোধকে পরিণত হতে পারে। এর থেকে আপনি বড় সমস্যায় পড়তে পারেন। যেমন, আপনি যখন কোনও সংক্রমণের মোকাবেলা করছেন এবং আপনাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে আর সেই অ্যান্টিবায়োটিক সঠিক কাজ করছে না! তখন কি হবে ?
যে সব লোকেরা মাংস ছাড়াই জীবনযাপন করতে পারেন যেমন ভেজিটেরিয়ান বা নিরামিষাসি তাদের BMI( Body mass index) কম
থাকে।
4. ফুড পয়জনিং (food poisoning) হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
জন্য কুখ্যাত। প্রবীণ, শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের মতো দুর্বল মানুষের যেকোনো মূল্যে এই ধরণের ফুড পয়জনিং এড়ানো বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ।
5. শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধক তৈরী হতে পারে ।
পরিশেষে , তাহলে আমাদের কি করা উচিত? আপনাকে একেবারেই চিকেন খেতে বারন করছি না, তবে একরকমের অনেকটা খাবার না খেয়ে চেষ্টা করবেন সব রকমের খাবার অল্প অল্প করে খাওয়ার । যেমন , একটু শাক একটু ডাল বিভিন্ন ধরনের সব্জি মাছ দুধ এবং হ্যাঁ আপনার চিকেন ও তবে অল্প অল্প করে সব রকমের।