বিখ্যাত মনিষীদের বই সম্পর্কিত ৪০ টি স্মরণীয় উক্তি ও বানী


বই সম্পর্কিত স্মরণীয় বাণী ও উক্তি
বিখ্যাত মনিষীদের বই সম্পর্কিত ৪০ টি  স্মরণীয় উক্তি ও বাণী ।



১. বই মানুষকে জ্ঞানী করে, ভালো-মন্দের পার্থক্য করতে শেখায়।

২. বই একমাত্র বন্ধু যে মানুষকে শুধু দিয়েই যায় বিনিময়ে কিছু চায় না। বই হলো এমন একটি মাধ্যম যা আমাদের কল্পনা শক্তিকে আরো বিস্তৃত করে। আমাদের জানার আগ্রহকে বাড়ায়। বই পড়লে মানুষের মনুষ্যত্ব জেগে ওঠে। 

৩. ভালো বই আত্নশুদ্ধির শ্রেষ্ঠ উপায়।  - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৪.  বই জ্ঞানের প্রতীক, বই আনন্দের প্রতীক  - জসিম উদ্দিন।

৫.  ঘরের কোন আসবাবপত্র বইয়ের মতো সুন্দর নয়। - সিডনি স্মিথ।
৬. একটি ভালো বই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু। আজ এবং চিরকালের জন্য।  - এফ টুপার।

৭. ভালো খাদ্য বস্তু পেট ভরে কিন্তু ভাল বই মানুষের আত্মাকে পরিতৃপ্ত করে। - স্পিনোজা

৮. ভালো বই পড়া মানে গত শতাব্দীর সেরা মানুষদের সাথে কথা বলা। - দেকার্তে

৯. অন্তত ষাট হাজার বই সঙ্গে না থাকলে জীবন অচল।- নেপোলিয়ান

১০. প্রচুর বই নিয়ে গরীব হয়ে চিলোকোঠায় বসবাস করব তবু এমন রাজা হতে চাই না যে বই পড়তে ভালবাসে না। -  জন মেকলে।
১১. আমি চাই যে বই পাঠরত অবস্থায় যেন আমার মৃত্যু হয়। - নর্মান মেলর

১২. একটি ভালো বইয়ের কখনোই শেষ বলতে কিছু থাকে না। - আর ডি কামিং

১৩. একটি বই পড়া মানে হলো একটি সবুজ বাগানকে পকেটে নিয়ে ঘোরা। - চীনা প্রবাদ

১৪. একজন মানুষ ভবিষ্যতে কী হবেন সেটি অন্য কিছু দিয়ে বোঝা না গেলেও তার পড়া বইয়ের ধরন দেখে তা অনেকাংশেই বোঝা যায়। - অস্কার ওয়াইল্ড।

১৫. বই হলো এমন এক মৌমাছি যা অন্যদের সুন্দর মন থেকে মধু সংগ্রহ করে পাঠকের জন্য নিয়ে আসে। - জেমস রাসেল

১৬. আমাদের আত্মার মাঝে যে জমাট বাধা সমুদ্র সেই সমুদ্রের বরফ ভাঙার কুঠার হলো বই। ফ্রাঞ্জ কাফকা

১৭. পড়, পড় এবং পড়। - মাও সেতুং

১৮. জীবনে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন- বই, বই এবং বই। - ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। 

১৯. বই হচ্ছে অতীত আর বর্তমানের মধ্যে বেঁধে দেয়া সাঁকো। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

২০. বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়না। - সৈয়দ মুজতবা আলী।
২১. বাঙালির বই কেনার প্রতি বৈরাগ্য দেখে মনে হয়, সে যেন গল্পটা জানে, আর মরার ভয়ে বই কেনা, বই পড়া ছেড়ে দিয়েছে " সৈয়দ মুজতবা আলী। 

২২. পৃথিবীর আর সব সভ্যজাত যতই চোখের সংখ্যা বাড়াতে বাস্ত,আমরা ততই আরব্য উপন্যাসের একচোখ দৈত্যের মতো ঘোঁত ঘোঁত্ করি, আর চোখ বাড়াবার কথা তুলতেই চোখ রাঙাই। চোখ বাড়াবার পন্থাটা কি? প্রথমতঃ বই পড়া এবং তার জন্য দরকার বই পড়ার প্রবৃত্তি। — সৈয়দ মুজতবা আলী

২৩. সেদেশ কখনো নিজেকে সভ্য বলে প্রতীয়মান করতে পারবে না যতক্ষণ না তার বেশিরভাগ অর্থ চুইংগামের পরিবর্তে বই কেনার জন্য ব্যয় হবে। ভলতেয়ার

২৪. বই বিশ্বাসের অঙ্গ, বই মানব সমাজকে টিকাইয়া রাখিবার জন্য জ্ঞান দান করে। অতএব, বই হইতেছে সভ্যতার রক্ষাকবচ। ভিক্টর হুগো 

২৫. বই লেখাটা নিষ্পাপ বৃত্তি এবং এতে করে দুষ্কর্ম থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। বার্ট্রান্ড রাসেল

২৬. একবার যার পড়ার নেশা লেগেছে, সেকি মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্তও তা ছাড়তে পারবে? – মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন 
২৭. ছাপাখানার কল্যাণে আজকাল ভাল বই খারাপ বই একইভাবে সজ্জিত হইয়া বাহির হয়। তৃতীয় শ্রেণির পুস্তকও সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে এবং বিজ্ঞাপনের কৌশলে প্রথম শ্রেণির পুস্তকের পাশে সমগৌরবে স্থান পায়।-বনফুল

২৮. কতকগুলো বই সৃষ্টি হয় আমাদের শিক্ষা দেবার জন্য নয়, বরং তাদের উদ্দেশ্য হলো আমাদের এই কথা জানানো যে, বইগুলোর স্রষ্টারা কিছু জানতেন। - গোঁটে।

২৯. যদি বইটা হয় পড়ার মতো তা কেনার মতো বই। - জন রাসকিন

৩০. বই কিনলেই যে পড়তে হবে, এটি হচ্ছে পাঠকের ভুল। বই লেখা জিনিসটা একটা শখমাত্র হওয়া উচিত নয়, কিন্তু
বই কেনাটা শখ ছাড়া আর কিছু হওয়া উচিত নয়। -প্রমথ চৌধুরী

৩১. আমরা যখন বই সংগ্রহ করি, তখন আমরা আনন্দকেই সংগ্রহ করি।— ভিনসেন্ট স্টারেট

৩২. বই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ আত্মীয়, যার সঙ্গে কোনদিন ঝগড়া হয় না, কোনদিন মনোমালিন্য হয় না।- প্রতিভা বসু

৩৩. 'সংসারে জ্বালা-যন্ত্রণা এড়াবার প্রধান উপায় হচ্ছে নিজ মনের ভেতরে আপন এক ভুবন তৈরি করা এবং বিপদকালে তার শরণাপন্ন হওয়া। আর আপন এই ভুবন তৈরি একমাত্র বই দ্বারাই সম্ভব। -- বারট্রা-রাসেল
৩৪. বই জ্ঞানের প্রতীক, বই আনন্দের প্রতীক। - পল্লীকবি জসীম-উদদীন।

৩৫. ভালো বই পড়িবার সময় মনেই থাকেনা, বই পড়িতেছি।-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৩৬. যে বই সম্পর্কে তোমার প্রকৃত ইচ্ছা ও কৌতূহল জাগে সেই বই পড়বে। - জনসন। 

৩৭. একটি বই ফুটন্ত ফুলের সংগে, দূরের পথেত সংগে এবং স্তম্ভের চূড়ার সংগে তুলনা করা চলে- আলেকজান্ডার স্মিথ।

৩৮. "আমার মধ্যে উত্তম বলে যদি কিছু থাকে তার জন্য আমি বইয়ের কাছে ঋণী'। সাহিত্যিক মাক্সিম গোর্কির

৩৯. নানা জ্ঞান-বিজ্ঞান যতই আমি আয়ত্ব করতে থাকি, ততই এক একটা করে আমার মনের চোখ ফুটতে থাকে'। -আনাতোল ফ্রাঁস

৪০. রুচিশীল সাহিত্যের বিস্তৃত পরিসরে বিচরণের মাধ্যমেই ব্যক্তি জীবনে মানুষ হয়ে উঠে জ্ঞান পিপাসু। যার ফলে ব্যক্তির প্রাত্যহিক আচরণে প্রকাশ পায় উত্তম গুণাবলী ও অর্জিত হয় সামাজিক মূল্যবোধ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন