2027 এর মধ্যেই ভারত হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ - জানালো মার্কিন সংস্থা মর্গ্যান স্ট্যানলি


মার্কিন সংস্থা মর্গ্যান স্ট্যানলি বলছে , ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া হলো ভারতের অর্থনীতির উন্নতির প্রথম ধাপ। এবং তারা ভবিষ্যদ্বাণী করেছে ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে ভারত।

এখানেই শেষ নয়, মার্কিন সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে স্টক মার্কেটের তৃতীয় বৃহত্তম কেন্দ্রে পরিণত হবে ভারত। এটা নতুন কিছু নয়। কারন করোনা কালীন সময়ের থেকে ভারতের শেয়ার বাজারে ছোটো ছোটো রিটেল বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কয়েক গুন বেড়ে গেছে। সঙ্গে মর্গ্যান স্ট্যানলি একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক বৃদ্ধি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের জনসংখ্যার বিস্ফোরণ হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই ভারত জনসংখ্যার দিক দিয়ে চীনকেও টপকে যাবে। এবং ভারত সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশে পরিণত হবে।

যাই হোক, মর্গ্যান স্ট্যানলির ভারতীয় শাখার প্রধান ইক্যুইটি স্ট্র্যাটেজিস্ট রিধাম দেশাই বলেন, ভারতের জিডিপি বৃদ্ধি পাবে,তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে তবে ধনী- গরীবের মধ্যে আরও বেশি গ্যাপ তৈরি হবে । যা ভালো কথা নয়।

তিনি আরো বলেন, কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতি বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা বাড়িতে বসে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। বিদেশী সংস্থার বহু কর্মচারী ভারতে থেকে কাজ করতে পছন্দ করছেন। দেশাই বলেন, আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই দেশের বাইরে কর্মরত ভারতীয়দের সংখ্যা বেড়ে যাবে।

মাত্র ৩.৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে ৭.৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে ভারত । 

এবং আসা করা হচ্ছে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (BSE) বার্ষিক এগারো (11%) শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের জিডিপির ২১ শতাংশ বৃদ্ধি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২২ সালে ভারতের জিডিপির ১৫.৬ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।

তবে ভারত এখনও নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু আয়ের বন্টন আগামী দশকে পাল্টে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি মনে করছেন, চলতি দশকের শেষের দিকে এই সংখ্যা দ্বিগুনের বেশি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি দেশের শেষের দিকে ভারত ৪.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত হতে পারে। তিনি বলেছেন, আগামী বছরগুলোতে সব থেকে বেশি লাভ হতে পারে পোশাক, খুচরো ব্যবসা, বিনোদন, গৃহস্থলীর বিভিন্ন পরিষেবা থেকে।

শুধুমাত্র মর্গ্যান স্ট্যানলি নয়, ভারত ইউটিলিটিস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়ালস বিশ্লেষক গিরিশ আচিপালিয়া মনে করেন, মূলধন বিনিয়োগের বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিকে আরও বেশি করে চাঙ্গা করবে। যার জেরে কর্মসংস্থান বাড়বে। আয় ও সঞ্চয়ের পরিবর্তে বিনিয়োগ বাড়বে বলে তিনি মনে করছেন। অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এক দশকেরও বেশি আগে আধারপ্রকল্প চালু হয়। এই আধারকার্ড ভারতে বসবাসকারীর পরিচিতি পত্র বলা যেতে। তাঁরা মনে করছেন, সেটাই ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ার প্রথম ধাপ। পরিচয় পত্রে বায়োমেট্রিকই ভারতকে ডিজিট্যালের দিকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

যোগাযোগ ফর্ম