হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার কারণ ও দিন দিন রোগা হওয়ার কারণ


রোগা হওয়ার কোনও চেষ্টাই করেননি, তা সত্ত্বেও ওজন কমে যাচ্ছে? এই সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। কী কারণে হতে পারে এমন?

ওজন কমানো কোনো মুখের কথা নয়। নেক ডায়েট, জিম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, অফিসে লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করা, বাইরের খাবার একেবারে স্পর্শ না করা ইত্যাদি ইত্যাদি করেও অনেকেই তাদের ওজন কমাতে হিমশিম খায়। 
অনেক দিন ধরে রোগা হওয়ার চেষ্ট করেও শেষমেশ তা হতে পারেন না। এটা তো গেল মু্দ্রার একটা দিক। অন্য পিঠে কিন্তু আবার আর এক রকম সমস্যা। রোগা হতে মোটেও চান না তবুও আপনার শরীরে কোনো ওজন বাড়তেই চায় না। একেবারে কাঞ্চন মল্লিক সিন। দিনের পর দিন ওজন একটু একটু করে কমে যাচ্ছে। চেষ্টা করেও ওজন কমাতে ব্যর্থ হন যাঁরা, তাঁদের কাছে এটা রূপকথার মতো শোনাতে পারে। তবে এও এক বড় সমস্যা। জিম বা শরীর চর্চা করে ওজন কমানো আর তেমন কোনো কারন ছাড়াই আপনার থেকে ওজন কমে যাওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য। প্রথমটি স্বাভাবিক, কিন্তু দ্বিতীয়টি অস্বাভাবিক। যদি আপনার সঙ্গে এমন হয় অবহেলা না করে সত্তর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
আমরা আজ জানবো কোন কোন কারণে এমন হতে পারে ?

1. ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিশক্তির অভাব

ওজন কমার সঙ্গে ডিমেনশিয়ার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়া মানেই স্মৃতিশক্তি ক্রমশ দুর্বল হবে। আর দুর্বল স্মৃতিশক্তির প্রভাব পড়বে রোজকার খাওয়াদাওয়ার উপরে। সঠিক সময়ে ও পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার কথা সব সময়ে মনে থাকে না রোগীর। এমন ভাবে দীর্ঘ দিন অনিয়ম চললে স্বাভাবিক ভাবেই ওজন কমতে শুরু করবে। তাছাড়া, ডিমেনশিয়ার ওষুধের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। সেই কারনেও শরীরের ওজন ক্রমশ কমে যেতে পারে।

2. মানসিক চাপ

ব্যক্তিগত জীবনে কিংবা কর্মক্ষেত্রে জটিলতা বা প্রবল কাজের চাপের কারণে মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হচ্ছে ক্রমশ। এর ফলে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বাড়ছে শরীরে। কর্টিসল হরমোন স্ট্রেস হরমোন নামেও পরিচিত। নাম থেকেই স্পষ্ট মানসিক চাপ এই হরমোনের জন্য দায়ি। এর ফলে বিপাকহারের উপর প্রভাব পড়ে। বিপাকক্রিয়া আবার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে বিপাকক্রিয়ার অস্বাভাবিকতায় ওজন বেড়ে বা কমে যেতে পারে।

3. ডায়াবিটিস

রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে কমতে পারে শরীরের ওজন। এই কারণে ডায়াবেটিকদের মধ্যে ওজন কমে যাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা যায়। ডায়াবিটিস কথার অর্থ রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ কমে যাওয়া। ইনসুলিনের অভাবে আমাদের শরীরে কোষগুলি নিজেদের সচল ও শক্তিশালী রাখতে পেশি ও চর্বিগুলোকেই খাবার হিসেবে ধরে নেয় ও আস্তে আস্তে খেতে থাকে। এর ফলে শরীরের সামগ্রিক ওজন ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

আপনার মতামত জানতে আমরা আগ্রহী তাই একটি মন্তব্য করুন, যাতে আমরা এই বিষয়ে আপনার মতামত জানতে পারি।

এই নিবন্ধটি আপনার বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করুন  তাঁদের এই বিষয়ের জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করার জন্য।

আমাদের fb page এ  follow করুন ও আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন