অমিতাভ বচ্চন: অমিতাভের ছবি ও কন্ঠ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আদালতের

এবার থেকে অমিতাভ বচ্চনের অনুমতি ছাড়া যেকোনো প্রচার বা বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহার করা যাবে না তার কোনো মিমিক



এখন থেকে আর অমিতাভ বচ্চনের নাম, ছবি, ও  তাঁকে নকল করা বা তাঁর গলার আওয়াজ নকল করা আর যাবে না। 

এবার থেকে অমিতাভ বচ্চনের অনুমতি ছাড়া যেকোনো প্রচার বা বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহার করা যাবে না তার কোনো মিমিক

দিল্লির আদালত ইতিমধ্যেই ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক ও টেলিকম পরিষেবাকে এই ধরনের কনটেন্ট তুলে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

কিন্ত কেন? বিখ্যাত অভিনেতা তথা লোকসভার সাংসদ অমিতাভ বচ্চনের হঠাৎ কি হলো ? এতো দিন তো কোনো অসুবিধার কথা আমরা জানতে পারি নি। আর তা ছাড়াও অনেক ছোটো আটির্স  অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের মিমিক করে জনপ্রিয় হয়েছেন। তবে কেন হঠাৎ অমিতাভ বচ্চনকে অনুকরণের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল?‌ 

অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের এরূপ পদক্ষেপের কারণ সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত। 

বিচারপতি শ্রী নবীন চাওলার মতে ,  '‌একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব একাধিক বিজ্ঞাপনে প্রতিনিধিত্ব করছেন এটা গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।'

বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য,  যে সমস্ত সংস্থা বিনা অনুমতিতে তাঁদের পণ্য ও পরিষেবা প্রচারের জন্য অমিতাভ বচ্চনের নাম ও যস  ব্যবহার করছেন তাঁদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিনেতা। ‌

মিমিক আর্টিস্টদের কে নিয়ে তিনি অতটাও ক্ষুব্ধ নন।

শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অমিতাভের আইনজীবী। 

সেখানে তাঁদের তরফে দাবি করা হয়, যে নাম, কণ্ঠস্বর, ছবি এবং ব্যক্তিত্বের উপর শুধুমাত্র অভিনেতার অধিকার থাকবে। অন্য কারও থাকবে না। 

এই খবর আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এবং তার  পর থেকেই রীতিমতো চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে বিনোদন জগতে। কারণ বহু শিল্পী বা সোশ্যাল মিডিয়া তারকার জনপ্রিয়তার  প্রধান কারণ অমিতাভের 'মিমিক' করা বা নকল করা।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিগ বি ৮০ বছরের হয়েছেন।  তাঁর নাম, ছবি, কণ্ঠস্বর এবং ব্যক্তিত্বের গুণাবলী রক্ষা করার জন্য বিশ্বের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে একটি আবেদন নিয়ে আদালতের কাছে গিয়েছিলেন। তার আইনজীবী হরিশ সালভে অমিতাভের হয়ে আদালতে বলেন, '‌যেটা চলছে আমি আপনাকে সেটাই বলছি। কেউ কেউ টি-শার্ট তৈরি করে সেখানে বিগ বি-এর ছবি ব্যবহার করছে। কেউ তাঁর পোস্টার বিক্রি করছেন, বিনা অনুমতিতে।

 সম্প্রতি "amitabhbachchan.com" নামে একটি ডোমেন বিক্রি হয়েছে। যার সঙ্গে অভিনেতার কোনও সম্পর্ক নেই। 

আর তাই আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।'‌ 

এখানেই শেষ নয়, অমিতাভ বচ্চন বই প্রকাশক, টি-শার্ট বিক্রেতা ও একাধিক অন্য ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে একটি নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়েছে আদালতের কাছ থেকে।

আপনার মতামত জানতে আমরা আগ্রহী তাই একটি মন্তব্য করুন, যাতে আমরা এই বিষয়ে আপনার মতামত জানতে পারি।

এই নিবন্ধটি আপনার বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করুন  তাঁদের এই বিষয়ের জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করার জন্য।

আমাদের fb page এ  follow করুন ও আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন।